কানপুর : এক মর্মান্তিক আত্মহত্যার ভার্চুয়ালি সাক্ষী থাকলেন নেটিজ়েনরা। নিজের আত্মহত্যার ভিডিয়ো নিজেই করেছেন আত্মঘাতী ভদ্রলোক। পেশায় রেলকর্মী রমেশ যাদব। আর রেললাইনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। কানপুরের পনকী স্টেশনের ঘটনা। গতকাল পনকি স্টেশনেই তিনি আত্মঘাতী হন। আত্মহত্যার ভিডিয়ো তিনি নিজেই করেছেন। মৃত্যুর আগে আত্মঘাতী হওয়ার কারণও বলে গিয়েছেন তিনি। কারণটা খুব অদ্ভূত। রেলের তরফে ছুটি মঞ্জুর না করায় এইরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রমেশ।
কানপুরের বাসিন্দা রমেশ যাদব পেশায় রেলকর্মী। গতকাল তিনি পনকি স্টেশনে আত্মঘাতী হন। আত্মহত্যার পুরো ভিডিয়োটি তিনি নিজেই রেকর্ড করেছেন। এই আত্মহত্যার ভিডিয়োটি ৩০ সেকেন্ডের। ভিডিয়োটি দেখলে যে কেউ শিউরে উঠতে পারেন। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে এই ভিডিয়োটি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রেললাইনের উপর শুয়ে রয়েছেন রমেশ যাদব। শরীরের অর্ধেক অংশ ট্রেনে কাটা পড়েছে। কোমর থেকে উপরের অংশ তখনও অক্ষত রয়েছে। কিছুক্ষণ শান্ত ছিলেন। তার ১০ মিনিট পর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।
রেলকর্মী নিজেই আত্মহত্যার ভিডিয়োটি করেছেন। তিনি এই ভিডিয়োতে আত্মহত্যার কারণও উল্লেখ করেছেন। ঠিক ছিল শ্যালকের বিবাহ অনুষ্ঠানে যাবেন রেলকর্মী রমেশ যাদব। সেইমতো ছুটির আবেদনও করেছিলেন তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মীর কাছে। কিন্তু পরিবার দাবি করেছে, সেই আধিকারিক রমেশের ছুটি মঞ্জুর করতে চাননি। শ্যালকের বিয়েতে যেতে পারবে না ভেবে এবং আধিকারিকের এরকম আচরণে বিষয়টি নিয়ে খুব হতাশ ছিলেন রমেশ।
গতকাল পনকি স্টেশনে যান তিনি। রেললাইনের উপর আচমকাই শুয় পড়েন। চালু করে দেন নিজের ফোনের ভিডিয়ো রেকর্ডারটিও। ততক্ষণে একটি ট্রেন তাঁর শরীরের অর্ধেকাঁশ কেটে চলে গিয়েছে। শরীর কোমরের অংশ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রমেশ আগের মতোই শুয়ে ছিলেন। নিশ্চুপ, শান্ত। তখনও বেঁচে ছিলেন রমেশ। তাঁর শারীরিক যন্ত্রণার অভিব্যক্তি দেখা যায়নি। দাঁতে দাঁত চেপে নিশ্চুপ মুখের আড়ালে লুকিয়ে নিয়েছিলেন শারীরিক যন্ত্রণা। সেই অবস্থাতেই তিনি আত্মহত্যার কারণ বলে যান তিনি। ১০ মিনিট পড়েই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন রমেশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা স্টেশনে খবর দিয়েছিলেন। জিআরপি এসে রমেশের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।