Murder case: ‘তোমার জন্য মাংস রান্না করব না…’, বড় দাদাকে একথা বলেই এ কী করল ছোট ভাই!

Rajasthan News: মাংস খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। সেজন্য দোকান থেকে মাংস কিনেও আনেন বড় দাদা। বাড়িতে এসে ছোট ভাইকে সেই মাংস রান্না করতে বলেন। কিন্তু, ছোট ভাই রান্না করতে চাননি। যা নিয়ে দু-ভাইয়ের নিয়ে বচসা শুরু হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়।

Murder case: তোমার জন্য মাংস রান্না করব না..., বড় দাদাকে একথা বলেই এ কী করল ছোট ভাই!
প্রতীকী ছবি।

| Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 21, 2023 | 6:17 PM

আলোয়ার: মাংস খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। সেজন্য দোকান থেকে মাংস কিনেও আনেন বড় দাদা। বাড়িতে এসে ছোট ভাইকে সেই মাংস রান্না করতে বলেন। কিন্তু, ছোট ভাই রান্না করতে চাননি। যা নিয়ে দু-ভাইয়ের নিয়ে বচসা শুরু হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। তারপর রাগের বশে মাংস কাটার ছুরি দিয়েই বড় দাদাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মাংস কাটার ছুরি দিয়ে পরপর ৩ বার দাদার পেটে কোপ মারে ভাই। এমনভাবে কোপ মারা হয় যে, পেটের ভিতরের অন্ত্র পর্যন্ত বেরিয়ে আসে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আলোয়ার জেলায়।

পুলিশ জানায়, রাজস্থানের আলওয়ার জেলার তিজারা এলাকার শাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ভুদ্দুনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছোট ভাই জগদীশের বিরুদ্ধে। মাংস রান্না নিয়ে বচসার জেরেই এই খুনের ঘটনা বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তদন্ত শুরু হয়েছে। জগদীশের দেহ ময়নাতদন্তেরপর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ভুদ্দুনরা তিন ভাই। সকলেই দিনমজুরের কাজ করেন। গত বুধবার সকালে ভুদ্দুন দোকান থেকে মাংস কিনে এনে ভাই জগদীশকে রান্না করতে বলেন। কিন্তু, ক্ষুব্ধ জগদীশ দাদার জন্য রান্না করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এটা নিয়েই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয় এবং বচসা থেকে হাতাহাতি বাধে। তাঁদের মা ঝগড়া থামাতে গেলে ক্ষুব্ধ দুই ভাই তাঁকে ধাক্কা মারেন এবং তিনি নীচে পড়ে যান। এরপর প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। কিন্তু,তাঁরাও দুই ভাইকে নিরস্ত করতে পারেননি। বরং ক্ষুব্ধ জগদীশ ঘরের ভিতর থেকে মাংস কাটার বড় ছুরি নিয়ে এসে দাদার পেটে পরপর কোপ দেন। ছুরিটা অনেকটাই বড় ছিল। ফলে ভুদ্দুনের পেটের ভিতর থেকে অন্ত্র পর্যন্ত বেরিয়ে আসে।

হঠাৎ করে ছোট ভাইয়ের এই কর্মকাণ্ডে হতবাক হয়ে যান পরিবারের সদস্য থেকে প্রতিবেশী। তাঁরা তড়িঘড়ি ভুদ্দুনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং তদন্ত শুরু করে। এদিকে, বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান জগদীশ। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।