মুম্বই: ছুটির দিনে স্ত্রী, মেয়ের সঙ্গে নামী রেস্তোরাঁয় (Restaurant) দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। রুটি, চিকেন এবং মাটন থালি অর্ডার করেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অর্ডার মোতাবেক খাবার টেবিলে এল। কিন্তু, চিকেনের ডিশে নজর পড়তেই সকলের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! চিকেনের সঙ্গে এটা কী! এ তো নেংটি ইঁদুর। এরপর আর ওই রেস্তোরাঁর খাবার গলা দিয়ে নামেনি ওই দম্পতির। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বেরিয়ে যান। সম্প্রতি এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে মুম্বইয়ের (Mumbai) বান্দ্রার এক নামি রেস্তোরাঁ।
বাণিজ্যনগরীর নামি রেস্তোরাঁর খাবারে ইঁদুর পাওয়ার ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই সকলের চক্ষু চড়কগাড় হওয়ার জোগাড়! নামি রেস্তোরাঁর খাবারে যদি এই হাল হয়, তাহলে সাধারণ রেস্তোরাঁয় কী হবে! এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ওই দম্পতি সেদিনই বান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর ঘটনার জল গড়ায় ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) পর্যন্ত। এবার এই ঘটনার পর কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে FDA। ওই রেস্তোরাঁর মালিককে ইতিমধ্যে নোটিস দিয়েছে FDA। এছাড়া মুম্বইয়ের ছোট, বড়- সব রেস্তোরাঁতেই হানা দিতে শুরু করেছে FDA।
দিন দুয়েক আগেই দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবায় একটি হোটেলে আচমকা হানা দেন FDA-র আধিকারিকেরা। নামজাদা সেই হোটেলের অবস্থাও তথৈবচ। FDA আধিকারিকেরা দেখেন, FSSIA-র অনুমতি ছাড়াই খাবার পরিবেশন করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলের কিচেনের কোনও লাইসেন্স নেই। শুধু তাই নয়, কিচেনের পরিস্থিতি দেখলে খেতে ইচ্ছা করবে না। রান্না যেখানে হচ্ছে, সেখানে আরশোলা, ইঁদুর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনা চাক্ষুষ করা মাত্রই ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে FDA। এবার থেকে ছোট-বড় সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁর কিচেনে নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন FDA আধিকারিকেরা।