নয়া দিল্লি: বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Forced Conversion) অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায় দেশজুড়ে। যার জেরে ফাটল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আবহেও। কিন্তু, এবার এই ধর্মান্তকরণ নিয়ে বড় রায় দিতে দেখা গেল দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi Highcourt)। শুক্রবার দিল্লির সর্বোচ্চ আদালত বলেছে জোর করে ধর্মান্তরের দাবিকে প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য থাকা দরকার। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ভেসে বেড়ানো গুজবে কান না দেওয়াই শ্রেয় বলে মত দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরদের। এমনকী এই পর্যবেক্ষণ জানানোর সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ফেক নিউজের বাড়বাড়ন্ত ও ছবি নিয়ে কারসাচি করার নানা দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন তারাঁ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভয় দেখিয়ে বা অর্থের বিনিময়ে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ বন্ধের নির্দেশ জারি করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা পড়ে। এ প্রসঙ্গে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানাতে গিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের সাফ দাবি, এ প্রসঙ্গে কোনও নোটিশ জারির করার আগে বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ বলছে, “প্রথমত, ধর্মান্তকরণ কোনও নিষিদ্ধ বিষয় নয়৷ জন্মগত পরিচয় দ্বারা বা জন্মের পর স্বেচ্ছায় কোনও ধর্ম বেছে নেওয়া যে কোনও ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। এই স্বাধীনতা ভারতীয় সংবিধানই আমাদের দেয়।
বেঞ্চ আরও বলে বলেছে, “ধর্মে প্রতারণা বলে কিছু নেই। সব ধর্মেরই বিশ্বাস আছে। বিশ্বাসের কিছু বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে ধর্মীয় বিশ্বাসটি ভুয়ো। তবে সেই বিশ্বাসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি একজন ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়, সেটা ভিন্ন বিষয়।” দিল্লি হাইরোর্টের এই রায় নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে নাগরিক মহলে। পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসছে নানা মত।