নয়া দিল্লি: সিবিআই-এর স্টেটাস রিপোর্ট পড়ার পরই তিলোত্তমার চশমা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি জানতে চান, মৃতদেহে চশমা পরানো ছিল কেন? যেখানে অভিযোগ উঠেছে যে ঘটনার সময় তিলোত্তমা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন, সে ক্ষেত্রে কীভাবে চশমা পরানো থাকতে পারে? একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান, সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে।
স্টেটাস রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তিলোত্তমা চশমা ও চুড়ি পরে থাকার জন্য শরীরে আঘাতের চিহ্ন বেশি দেখা গিয়েছে। এই রিপোর্ট পড়ার পর প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, যে সিজার লিস্ট পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, মৃতদেহে চশমা লাগানো ছিল না। মৃতদেহের পাশে ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তিলোত্তমার চশমা।
একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, ‘সিবিআই-এর স্টেটাস রিপোর্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিড উঠে এসেছে। সিবিআই তদন্ত চলুক। খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা এবং আর্থিক দুর্নীতি দু’টি বিষয়েই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা চশমা এবং চুরি পরেছিলেন, সেই কারণেই ক্ষত অনেক বেশি হয়েছে। একজন যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন কীভাবে এটা সম্ভব?’
পরবর্তী শুনানির দিন ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব কি না, এসজি তুষার মেহতাকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং জানান, ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও প্রতিনিধি নেই। এই বিষয়ে ইমেইল করে আবেদন জানানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের বিষয়টি দেখছেন বলে জানান তিনি। নবরাত্রি এবং দশেরার ছুটির পর প্রথম সোমবার হবে পরবর্তী শুনানি।