পটনা : বিহারের এনডিএ সরাকারের পতন ঘটেছে। একদিনের নাটকের যবনিকা পতনে উত্থান হয়েছে ‘নীজস্বী’ সরকারের। মহাগঠবন্ধন সরকারের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক দিন পরেই দিল্লি যাচ্ছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এদিন সাড়ে ৫ টা নাগাদ তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। আজই সাক্ষাৎ করবেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে।
আগামী ২৪ অগস্ট বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মহাগঠবন্ধন সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে প্রস্তুত নীতীশ-তেজস্বীর সরকার। ২৪৩ টি আসন সমন্বিত বিহার বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ‘নীজস্বী’ সরকারের লাগবে ১২২ টি ভোট। তবে তাদের কাছে ১৬৪ টি বিধায়কের সমর্থন এমনিতেই রয়েছে। সুতরাং অনাস্থা ভোটে যে মহাগঠবন্ধন সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে সেই বিষয়ে তাঁরা নিঃসন্দেহ। তবে ২৪ অগস্টের অনাস্থা ভোটের আগেই শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেস ও আরজেডির মধ্যে বৈঠক হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, বিহারে মহাগঠবন্ধন ২.০ সরকার গঠনের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল কংগ্রেসের। যেদিন প্রথম বিহারে সরকার ভেঙে যাওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন রবিবারই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নীতীশ ফোন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এমনকী সনিয়া গান্ধী যখন কোভিড আক্রান্ত হন তখন সৌজন্য বিনিময় হয় নীতীশ ও সনিয়ার মধ্যে। সেই সময় সনিয়াকে ফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন নীতীশ। তবে জানা গিয়েছিল, নীতীশ সনিয়াকে জানিয়েছিলেন যে, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। সেই সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও তাঁকে সাক্ষাৎ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। তখন তেজস্বীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন নীতীশ কুমার। তেজস্বী কথা বলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। তারপর রাহুল গান্ধী রাজ্য় কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এনডিএ সরকারকে ভেঙে দেওয়ার গোটা চিত্রনাট্য রচনায় মূল ভূমিকায় পালন করেছে কংগ্রেস। জুনের প্রথম সপ্তাহেই কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। জেডিইউ-র অভ্যন্তরীণ নেতাদের মতে, তারপরই এনডিএ থেকে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময়ই লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। গোটা চিত্রনাট্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সনিয়া গান্ধী। এবার তার সঙ্গেই দেখা করতে চলেছেন তেজস্বী যাদব।