Bank Robbery: বড়দিনের আগে বড়সড় চক্রান্ত ফাঁস, পাঁচ মিটার গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল দুষ্কৃতীরা, নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কারণ

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 24, 2022 | 12:29 PM

Uttar Pradesh: শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ব্য়াঙ্কের ভিতরে গতিবিধি সেন্সরে ধরা পড়তেই কর্মীরা আন্দাজ করেন কিছু একটা হচ্ছে। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই সরকারি ব্যাঙ্কে পৌঁছে ভিতরে কাউকে দেখতে পায় না।

Bank Robbery: বড়দিনের আগে বড়সড় চক্রান্ত ফাঁস, পাঁচ মিটার গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল দুষ্কৃতীরা, নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কারণ
সুড়ঙ্গ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ছবি:PTI

Follow Us

কানপুর: ব্যাঙ্ক লুট করার পরিকল্পনা ছিল অনেকদিন আগে থেকেই। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে পরিকল্পনা সফল করা যায়, তার জন্যই দিনের পর দিন ধরে রাতের অন্ধকারে চলত কাজ। অপেক্ষা ছিল শুধু একটা মোক্ষম সুযোগের। বড়দিনের ছুটি পড়ার আগেই মিলল সেই সুযোগ। রাতের অন্ধকারে ব্যাঙ্ক সাফ করে দিল চোরেরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। সেখানে একটি সরকারি ব্যাঙ্কে শুক্রবার রাতে চুরি হয়। প্রায় দুই কেজি সোনা নিয়ে পালায় চোরেরা। তবে চুরি নয়, চুরির পন্থা দেখেই অবাক হয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চোরেরা ব্যাঙ্কের বাউন্ডারির পাশ থেকেই আট মিটার দীর্ঘ, পাঁচ মিটার গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল। দেওয়ালের ওপার থেকে সেই সুড়ঙ্গ সোজা পৌঁছে গিয়েছিল ব্য়াঙ্কের স্ট্রং রুমে।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত ২৫ বছরে কানপুরে এই প্রথম এত বড় মাপের চুরি হল। চোরেরা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাঙ্কে লুট করার পরিকল্পনা করেছিল। বাউন্ডারির পাশ থেকেই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। সেই সুড়ঙ্গ মাটির নীচ থেকে গিয়ে সোজা তা ব্য়াঙ্কের স্ট্রং রুমে পৌঁছে গিয়েছিল।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ব্য়াঙ্কের ভিতরে গতিবিধি সেন্সরে ধরা পড়তেই কর্মীরা আন্দাজ করেন কিছু একটা হচ্ছে। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই সরকারি ব্যাঙ্কে পৌঁছে ভিতরে কাউকে দেখতে পায় না। কিন্তু স্ট্রং রুমের ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পান যে ঘরের এক কোণে সুড়ঙ্গ খোঁড়া রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সুড়ঙ্গের অপর প্রান্তের খোঁজ শুরু করা হয়। বাইরে বেরিয়ে দেখা যায়, ব্য়াঙ্কের বাউন্ডারির দেওয়ালের ঠিক পাশে একটি জায়গায় ভাঙা ইট পাথরের স্তূপ করে রাখা। সেটি সরাতেই খুঁজে পাওয়া যায় সুড়ঙ্গের অপর প্রান্ত।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সুড়ঙ্গ খুঁড়তে বেশ কয়েকদিন সময় লেগেছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গোটা ঘটনার সঙ্গে ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীও জড়িত রয়েছে। সেই কারণেই এত নিপুণভাবে গর্ত খোঁড়া সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্যাস কাটার ব্যবহার করে স্ট্রং রুমে রাখা লকারগুলি কাটা হয়। মোট ২৯টি লকার কেটে ১.৮ কেজি সোনা চুরি করে পালায়। ব্যাঙ্কের অ্য়ালার্ম সিস্টেম ও সিসিটিভি ফুটেজও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে লকারে রাখা ৩৫ লক্ষ টাকার এক টাকাও খোয়া যায়নি।

Next Article