নয়া দিল্লি: প্যান্ট্রি কারে যাত্রীদের টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর গুলি চালিয়েছেন RPF কনস্টেবল চেতন সিং। নৃশংস সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে এমনই অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মঙ্গলবার এমনটাই জানাচ্ছেন GRP আধিকারিক। তিনি জানান, জয়পুর-মুম্বই ট্রেনের বি২ বগি থেকে প্যান্ট্রি কারে যাত্রীদের টেনে নিয়ে গিয়ে গুলি করা হয়েছে। তাহলে কী পরিকল্পিতভাবে যাত্রীদের হত্যা করেছেন আরপিএফ কনস্টেবল চেতন সিং? এমন প্রশ্নও উঠছে। ঘটনার তদন্তে অভিযুক্তকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে রেল পুলিশ। অন্যদিকে, এই গুলি চালনার ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যএর এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে বোর্ড।
জিআরপি আধিকারিক জানান, সোমবার ভোরে পালঘর স্টেশনের কাছে চলন্ত জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসের মধ্যেই ৩৩ বছর বয়সি চেতন সিং তার সিনিয়ার আরপিফ সহকর্মী টিকা রাম মীনা এবং ট্রেনের আরও ৩ যাত্রীকে চলন্ত ট্রেনেই গুলি করে বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, “বি২ কোচের সঈদ এস নামে এক যাত্রীকে প্যান্ট্রি কারে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বি২ থেকে বি১ কোচে যাচ্ছিলেন। প্যান্ট্রি কার পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরাও ঘটনাটি দেখেছিলেন।”
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ট্রেনের অন্তত ৫টি বগি থেকে যাত্রীদের বয়ান নিয়েছেন জিআরপি আধিকারিক। সেই বয়ানের ভিত্তিতে তিনি জানান, চেতন সিংয়ের হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ৫টি বগির যাত্রীরা। অন্তত এক ডজন যাত্রী ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ডিং করেছেন।
তবে ঠিক কী কারণে আরপিএফ কনস্টেবল এই পদক্ষেপ করলেন,তা এখনও স্পষ্ট নয়। জিআরপি আধিকারিক বলেন, অভিযুক্ত (কনস্টেবল চেতন সিং) কেন একাজ করল, সে ব্যাপারে জানতে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্য যাত্রীদের থেকেও খবর সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাঁরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, কনস্টেবল চেতন সিংয়ের গুলিতে মৃত যাত্রীদের নাম, মহম্মদ হুসেন ভানপুরওয়ালা (৫৮), তিনি পালঘরের নালাসোপারার বাসিন্দা। আব্বাস শেখ (৪৮), বিহারের মধুবনির বাসিন্দা এবং সঈদ এস (৪৩)। গোটা ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।