Cash found in abandoned car: গাড়ির ভিতর গুপ্তধন, থরে থরে সাজানো টাকার বান্ডিল, সোনার বিস্কুট
Cash found in abandoned car: ব্যাগ দুটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। ব্যাগ দুটিতে সোনার বিস্কুট ও নগদ টাকা ভর্তি। ৫২ কেজি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য ৪০ কোটি টাকা। পরিত্যক্ত ওই গাড়ি থেকে নগদ ১০ কোটি টাকাও উদ্ধার হয়।
ভোপাল: ধবধবে সাদা গাড়ি। জঙ্গলের মাঝে পড়ে রয়েছে। আর সেই গাড়ির ভিতরে মিলল ‘গুপ্তধন’। পাওয়া গেল নগদ ১০ কোটি টাকা ও ৫২ কেজি সোনার বিস্কুট। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের অদূরে রতিবাদ এলাকায় মেনদোরি জঙ্গল থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয়।
ভোপালে একাধিক রাজনীতিক, সরকারি অফিসার ও রিয়েল এস্টেস ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর ও লোকায়ুক্ত পুলিশ। সেইসময় আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, জঙ্গল দিয়ে সোনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ১০০ জন পুলিশকর্মী ও পুলিশের ৩০টি গাড়ি জঙ্গল ঘিরে ফেলে। জঙ্গলে তারা একটি সাদা গাড়ি দেখতে পায়। সামনে গিয়ে দেখে, গাড়ির ভিতর কেউ নেই। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির মধ্য থেকে দুটি বড় ব্যাগ পাওয়া যায়।
ব্যাগ দুটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। ব্যাগ দুটিতে সোনার বিস্কুট ও নগদ টাকা ভর্তি। ৫২ কেজি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য ৪০ কোটি টাকা। পরিত্যক্ত ওই গাড়ি থেকে নগদ ১০ কোটি টাকাও উদ্ধার হয়।
এই খবরটিও পড়ুন
জানা গিয়েছে, চেতন গৌর নামে গোয়ালিয়রের এক ব্যক্তির নামে গাড়িটি রয়েছে। এবং তাঁর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-র একজন প্রাক্তন কনস্টেবল সৌরভ শর্মার। প্রাক্তন ওই কনস্টেবল ও একাধিক রিয়েল এস্টেস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই তদন্তের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া সোনা ও টাকার যোগ রয়েছে। এই সোনা ও টাকার দাবিদার এখনও পাওয়া যায়নি। টাকা ও সোনার উৎসের সন্ধান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সৌরভ শর্মার বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর ও লোকায়ুক্ত পুলিশ। নগদ এক কোটি টাকা, সোনা, হিরে এবং সম্পত্তির নথি পাওয়া যায়। রাজেশ শর্মা নামে এক রিয়েল এস্টেস ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও নগদ ৩ কোটি টাকা, সোনার গয়না ও সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে।