
নয়া দিল্লি: কংগ্রেস আমলে জন্ম নিয়ন্ত্রণে প্রচার করা হত, ‘হাম দো, হামারে দো’। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত প্রতি পরিবারে তিন সন্তানের পক্ষে সওয়াল করলেন। এর পিছনে তিনি যুক্তিও দিলেন। বললেন, রিপ্লেসমেন্ট লেভেল বার্থ রেট প্রতি মহিলা পিছু ২:১ হওয়া উচিত।
আরএসএসের শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জনবিন্যাসের বিবর্তন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে গোষ্ঠীর জন্মহার তিনের কম, তারা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই জন্মহার তিনে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বলেন, “সব দেশেই এমন হয়।”
আরএসএস প্রধান বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন সঠিক বয়সে বিয়ে এবং তিন সন্তান জন্ম হলে, মা-বাবা এবং সন্তানরা সুস্থ থাকে। বাড়িতে ভাইবোন থাকলে, সন্তানরা ইগো ম্যানেজমেন্ট শেখে। ভবিষ্যতেও পরিবারে কোনও অশান্তি হয় না। আমাদের দেশে জন্মহার ২:১। গড়ে এই সংখ্যাটা ঠিক আছে, কিন্তু ০:১ সন্তান তো হতে পারে না। অঙ্কে ২:১ পরে ২ হয়ে যায়। জন্মহারের ক্ষেত্রে ২-র পর তো ৩ হতে হবে। দেশের স্বার্থে প্রতি দম্পতির তিন সন্তান গ্রহণ করা উচিচ।”
তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বোঝা হয়ে যেতে পারে, সে কথাও উল্লেখ করেন আরএসএস প্রধান। বলেন, “জনসংখ্যা যেমন আশীর্বাদ হতে পারে, তেমন তা বোঝাও হয়ে যেতে পারে। দিনের শেষে সকলকে খাওয়াতে হবে। সেই জন্যই জনসংখ্যা নীতি রয়েছে, যাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিতও থাকে আবার পর্যাপ্তও হয়। প্রতি পরিবারে তিন সন্তান হওয়া উচিত, কিন্তু তার বেশি নয়। যাতে তাদের বেড়ে ওঠা সঠিক হয়। এটা সকলের মানা উচিত।”
জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে ধর্মান্তকরণকে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “জনসংখ্যায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হল ধর্মান্তকরণ, যা ভারতীয় সভ্যতায় ছিল না। খ্রিস্টান ও মুসলিমরাও বলেন যে ধর্মান্তকরণ ঠিক নয়। তাই এটা হওয়া উচিত নয়।”