Maha Kumbh 2025: ‘সনাতন ঐতিহ্য রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করেছে উপজাতি সমাজ!’ কুম্ভ মেলায় গিয়ে আর কী বললেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে?
Maha Kumbh 2025: সব সমস্যার মোকাবিলা করতেও সাধু-সন্তদের এবং সমাজের সকল শ্রেণীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। রবিবার দুই দিনের সফরে তিনি প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন। এই সময় বহু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে, দত্তাত্রেয় হোসাবলে যোগদান করেছিলেন অল ইন্ডিয়া বনবাসী কল্যাণ আশ্রম আয়োজিত জনজাতি সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানেও। সেখানেই সনাতন ধর্ম রক্ষার ক্ষেত্রে উপজাতি সমাজের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
তিনি জানান, হিন্দু সংস্কৃতি এবং সনাতন ঐতিহ্য রক্ষায় উপজাতীয় সাধু-সন্ত এবং সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে হিন্দু সমাজ ধর্মান্তর এবং বিদেশী মতাদর্শের প্রতি মানুষের আকর্ষণের মতো নানা সংকটের মুখোমুখি। সেই সব সমস্যার মোকাবিলা করতেও সাধু-সন্তদের এবং সমাজের সকল শ্রেণীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি।
দত্তাত্রেয় হোসাবলে এই দিন বলেন, “ভারতের সনাতন ঐতিহ্য কেবল বিশ্বাস এবং উপাসনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সম্পূর্ণ জীবনধারা। যেখানে প্রকৃতি সংরক্ষণ, সামাজিক সম্প্রীতি এবং সেবামূলক কাজেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আদিবাসী সমাজ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আরও কাজ করা প্রয়োজন।”
এখানেই শেষ নয়, আদিবাসী সমাজে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও সাধুসন্তদের প্রতি আবেদন জানান তিনি। উপজাতি সমাজের যুবকরা যদি তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাহলে ধর্মান্তরের মতো চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে সমাজ আরও ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে কল্যাণ আশ্রমের জাতীয় সভাপতি সত্যেন্দ্র সিং, গঙ্গাধর মহারাজ এবং দাদু দয়াল সহ বিভিন্ন রাজ্যের ৭৭ জন আদিবাসী সাধু-মহন্ত উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও নিজেদের বক্তব্য রাখার সময় ব্যাখ্যা করেন কীভাবে বিভিন্ন বিদেশী সংস্থা উপজাতি এলাকায় ধর্মান্তরের ষড়যন্ত্র করছে এবং সমাজকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
কল্যাণ আশ্রমের জাতীয় সভাপতি সত্যেন্দ্র সিং বলেন, “আদিবাসী সমাজকে শক্তিশালী করার জন্য সকল সাধু-সন্ত এবং সামাজিক সংগঠনকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কল্যাণ আশ্রম এই বিষয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। সাধু-সন্তরাও এতে সহযোগিতা করবেন বলেই আশা।” শেষে দত্তাত্রেয় হোসাবলে অনুষ্ঠান শেষ করার সময় সনাতন ধর্ম রক্ষার ক্ষেত্রে উপজাতীয় সমাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সনাতন সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার জন্য উপজাতীয় সমাজের ঐক্য ও অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।” অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় সকল সাধুদের উত্তর প্রদেশ সরকারের কুম্ভ মেলা কমিটির পক্ষ থেকেও উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।





