RSS on Emergency: ‘স্কুল বন্ধ, আমরা ভাবতাম বাচ্চাদের খেলাধুলো করা আটকায়’, ইমার্জেন্সির অন্ধকার অধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করলেন সুনীল অম্বেকার

Emergency Period: এ দিন অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকার বলেন, "ইমার্জেন্সির সময় আমি খুব ছোট ছিলাম..আমরা শাখায় (আরএসএসের ব্রাঞ্চ) খেলতাম। জরুরি অবস্থা ঘোষণা হওয়ার পর স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।"

RSS on Emergency: স্কুল বন্ধ, আমরা ভাবতাম বাচ্চাদের খেলাধুলো করা আটকায়, ইমার্জেন্সির অন্ধকার অধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করলেন সুনীল অম্বেকার
আরএসএস প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকার। Image Credit source: PTI

|

Jun 25, 2025 | 2:58 PM

নয়া দিল্লি: ইতিহাসের অন্ধকার দিন আজ। ৫০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালে ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। গণতন্ত্রের এক আঁধার অধ্যায়ে প্রবেশ করেছিল দেশ। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল নাগরিকদের স্বাধীনতা-অধিকার। প্রতিবাদ করলেই শাস্তিস্বরূপ বন্দি করে রাখা হত কালকুঠুরিতে। ইমার্জেন্সি বা জরুরি অবস্থার সেই দিনগুলি কেমন ছিল, তার স্মৃতিচারণ করলেন আরএসএসের প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকার।

এ দিন অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকার বলেন, “ইমার্জেন্সির সময় আমি খুব ছোট ছিলাম..আমরা শাখায় (আরএসএসের ব্রাঞ্চ) খেলতাম। জরুরি অবস্থা ঘোষণা হওয়ার পর স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে আমরা ভেবেছিলাম যে ইমার্জেন্সি হয়তো এমন কিছু যা বাচ্চাদের খেলাধুলো থেকে আটকায়। আমরা ভাবতাম, কীভাবে সরকার এমন করতে পারে? পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেক কিছু বুঝতে পারলাম…”

জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর কী হয়েছিল, তার স্মৃতিচারণ করে সুনীল অম্বেকার বলেন, “ইমার্জেন্সির সময় আরএসএস কর্মীদের জেলবন্দি করে রাখা হত, তাদের অত্যাচার করা হত। কাউকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হত, অমানবিক অত্যাচার করা হত, যা বর্ণনার বাইরে। ইমার্জেন্সি ঘোষণার সময়ই বহু সংঘসেবকদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “ইমার্জেন্সি যেদিন শেষ হয়, আমার মনে আছে সংঘের বাইরে জমা হয়েছিলেন। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছিলেন যে কী কী অত্যাচার করা হয়েছে তাদের উপরে। গণতন্ত্র বাঁচাতে গিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই জেলে গিয়েছিলেন। তারপরও তাদের মনোবল ভাঙা যায়নি। দেশে গণতন্ত্র থাকুক, এই দাবিতে তারা অনড় ছিলেন।”