Vladimir Putin: ‘যদি আমেরিকার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতের কেন নয়?’, ট্রাম্পের পর্দা ফাঁস করলেন পুতিন

India-Russia Relation: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণেই ভারত সফরে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দিল্লিতে পা রেখে তিনি বললেন যে আমেরিকার যদি রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতেরও সেই সুযোগ পাওয়া উচিত। 

Vladimir Putin: যদি আমেরিকার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতের কেন নয়?, ট্রাম্পের পর্দা ফাঁস করলেন পুতিন
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।Image Credit source: PTI

|

Dec 05, 2025 | 6:33 AM

নয়া দিল্লি: এ কেমন দ্বিচারিতা! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পর্দা ফাঁস করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। যেখানে রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের এত আপত্তি, শুল্ক চাপিয়ে জ্বালানি কেনা বন্ধ করতে চাইছে, সেখানেই আমেরিকা নিজে কিন্তু রাশিয়ার থেকে ইউরেনিয়াম কেনা বন্ধ করেনি! ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বললেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণেই ভারত সফরে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দিল্লিতে পা রেখে তিনি বললেন যে আমেরিকার যদি রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতেরও সেই সুযোগ পাওয়া উচিত।

পুতিন বলেন, “আমেরিকা নিজেদের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য পরমাণু জ্বালানি কেনে আমাদের থেকে। সেটাও তো জ্বালানি। শক্তি। আমেরিকার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে সচল রেখেছে ইউরেনিয়াম।”

ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “যদি আমেরিকার আমাদের কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতকে কেন সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে? এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে এবং আমরা এই বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।”

প্রসঙ্গত, আমেরিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। পুতিনের দেশ যা ইউরেনিয়াম বিক্রি করে, তার প্রায় ২৫ শতাংশই কেনে আমেরিকা। চলতি বছরে আমেরিকা থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে রাশিয়া। ২০২৪ সালে আমেরিকায় ইউরেনিয়াম রফতানি করে রাশিয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।

সাক্ষাৎকারে পুতিন জানান যে ভারতের সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে, তা পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা ইউক্রেনের যুদ্ধ তা পরিবর্তন করতে পারেনি।