
নয়া দিল্লি: বালোচিস্তানকে আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বসেছেন সলমন খান। কথার পিছনে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন? নাকি ইচ্ছে করে পাকিস্তানকে খোঁচা দিলেন? সেই ১৯৪৮ সাল থেকে বালোচরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। একদল আন্তর্জাতিক স্তরে জনমত তৈরিতে ব্যস্ত। আর একদল বালোচ অস্ত্র নিয়ে পাক সেনা ও পাক পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বালোচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ-র মতো সংগঠন পাক সেনা-পুলিশকে নাজেহাল করে ছাড়ছে।
পাক সেনা লাগাতার গণহত্যা চালিয়েও বালোচদের দমন করতে পারেনি। গত এক বছরে ৭ বার জাফর এক্সপ্রেসের উপর হামলা চালিয়েছে বালোচ যোদ্ধারা। পাকিস্তান-বালোচিস্তানের সংঘাতের কথা প্রায় সবারই জানা। সলমন খানও নিশ্চয় তার ব্যতিক্রম নয়। তাহলে বলিউডের ‘ভাইজান’ এমন একটা বিতর্কিত মন্তব্য করতে গেলেন কেন?
রিয়াধে ভারতীয় সিনেমা নিয়ে এক সম্মেলনে একমঞ্চে ছিলেন শাহরুখ, আমির ও সলমনের মতো তারকারা। অতিথিরা বক্তব্য রাখার পর দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই সলমনের বালোচিস্তান নিয়ে মন্তব্য। আর এই মন্তব্যের জন্য পাকিস্তানে রে-রে করে ময়দানে নেমে পড়েছে। তবে সেটা আবার কতটা ঠিক, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পাক প্রশাসনের নির্দেশিকা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাক্ট চেক করে দেখা যাচ্ছে, এর অধিকাংশই ভুয়ো। আদৌ বলিউডের ভাইজানকে পাকিস্তান ‘জঙ্গি’ বলে ঘোষণা করেনি। পারসোনা নন গ্রাটা বলেও ঘোষণা করা হয়নি।
গোটা ঘটনায় লাভের লাভ যদি কারও হয়ে থাকে, তিনি সলমন খান। ঘটনায় প্রচারের স্পটলাইট তাঁর উপর থেকে নড়েনি। হয়ত আগামিদিনে বালোচিস্তান নিয়ে একটা মারকাটারি সিনেমাও সলমনের ঝুলি থেকে বেরতে পারে।