Shashi Tharoor: কংগ্রেসের ‘অমাবস্যা’, বিজেপির ‘পূর্ণিমা’! শশীতেই কেন ভরসা মোদীর?

কেন্দ্র সরকার সূত্রে খবর, অপারেশন সিদুঁরে পাক সেনাকে বিরাট বড় ধাক্কা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু প্রথমদিকে পাকিস্তানের তরফে যে ব্যাপক চালানো ভুয়ো প্রচার চালানো হয়, তার মোকাবিলায় খামতি ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়াও এই ভুয়ো খবরে প্রভাবিত হয়েছিল। স্যাটেলাইট চিত্র হাতে আসার পর এখন সবাই সবটা জলের মতো স্পষ্ট হয়েছে। সূত্রের খবর, এনিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি ঠিক করার দায়িত্ব শশী থারুরকেই দেওয়া হয়েছে।

Shashi Tharoor: কংগ্রেসের অমাবস্যা, বিজেপির পূর্ণিমা! শশীতেই কেন ভরসা মোদীর?

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

May 18, 2025 | 9:56 PM

প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার কয়েকদিন আগে সংসদে অটলবিহারী বাজপেয়ীর হাতে এসেছিল চার লাইনের একটা চিরকুট। তাতে ছিল এই বার্তা। পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাও। পিভি চেয়েছিলেন, তিনি না পারলেও অটলবিহারী যেন পরমাণু পরীক্ষা করার সুযোগ পান। বাজপেয়ী সুযোগ পেয়েছিলেন এবং সেটা করেও দেখিয়েছিলেন। সংসদে দাঁড়িয়ে বাজপেয়ী বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পিভি নরসীমা রাও তাঁকে ভিয়েনায় রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছিলেন।

বাজপেয়ী তখন দেশের বিরোধী নেতা। তবুও বাজপেয়ীর উপর ভরসা রেখেছিলেন পিভি। প্রায় তিন দশক পর বাজপেয়ীর পথেই হাঁটলেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী দলের এক সাংসদের উপর ভরসা রাখলেন। পহেলগাঁও হামলায় পাক যোগ এবং ভারতের অপারেশন সিদুঁর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে কেন্দ্র। এজন্য সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ, বৈজয়ন্ত পান্ডা, জেডিইউয়ের সঞ্জয় ঝা, এনসিপি শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর সুপ্রিয় সুলে, ডিএমকের কানিমোজি এবং শিবসেনার তরফে শ্রীকান্ত শিন্ডে। এই ৭ জন মূলত নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য দেশে গিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন। ভারতের তরফে তথ্য-প্রমাণ তুলে দেবেন। কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতে, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে অপারেশন সিদুঁরের পরিকল্পনা হয়েছে – তা ব্যাখ্যা করবেন। তবে মূল উদ্দেশ্য পাকিস্তানের ভুয়ো প্রচার এবং ভারত বিরোধী লবির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা। পরে এরা অন্যান্য দেশেও যাবেন।

কেন্দ্র সরকার সূত্রে খবর, অপারেশন সিদুঁরে পাক সেনাকে বিরাট বড় ধাক্কা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু প্রথমদিকে পাকিস্তানের তরফে যে ব্যাপক চালানো ভুয়ো প্রচার চালানো হয়, তার মোকাবিলায় খামতি ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়াও এই ভুয়ো খবরে প্রভাবিত হয়েছিল। স্যাটেলাইট চিত্র হাতে আসার পর এখন সবাই সবটা জলের মতো স্পষ্ট হয়েছে। সূত্রের খবর, এনিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি ঠিক করার দায়িত্ব শশী থারুরকেই দেওয়া হয়েছে। এবং শশী দায়িত্ব নিতে রাজি। তবে এনিয়ে আবার কংগ্রেস – বিজেপি ঠকাঠকিও শুরু হয়েছে।

কংগ্রেসের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর অনুরোধে দল চার সাংসদের নাম জমা দিয়েছিল। তার মধ্যে শশী থারুরের নাম ছিল না। কিন্তু প্রতিনিধি দলে তাদের কারও নাম নেই। আছে শুধু শশী থারুরের নাম। সূত্রের খবর, এব্যাপারে কেন্দ্রের অবস্থান খুব স্পষ্ট। বর্তমান সাংসদদের মধ্যে এই কাজে শশী থারুর যোগ্যতম বলেই তিরুবানন্তপুরমের সাংসদকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে দল বা রাজনীতির ব্যাপার নেই।

শশী রাষ্ট্রসংঘের ডিরেক্টর জেনারেল পদে কাজ করেছেন। আমেরিকা সহ দুনিয়ার বহু দেশে আমলা মহলে তার চেনাশোনা ও প্রভাব আছে। তাই শশীকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। একদম ঠিক। সঙ্গে এটাও ঠিক যে শশীর মতো কূটনীতিতে দক্ষ মানুষ সংসদে এই মুহূর্তে আছেন। তাদের বাদ নিয়েই শশীকে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইদানিং কালে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে শশীর মুখে। এমনকি ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি নিয়েও কংগ্রেসের থেকে উলটো পথে হেঁটেছেন শশী। এইসব ঘটনার সঙ্গে শশীর দায়িত্বপ্রাপ্তির কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, সেটা অবশ্য এখনই বলা সম্ভব নয়।