Geelani’s Grandson Sacked: পাকিস্তান থেকে ফিরতেই কেন চাকরি দেওয়া হয়েছিল গিলানির নাতিকে? বরখাস্ত করল সরকার
Jammu and Kashmir: মনে করা হয় বুরহান ওয়ানিকে মারার পর যে প্রতিবাদ করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, সেটাকে অস্ত্র করেই চাকরি পায় গিলানির নাতি আনিস।
কাশ্মীর : জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সরকারি দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির (Syed Ali Shah Geelani) নাতি আনিসুল ইসলাম (Anees-Ul-Islam)। মেহেবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti) কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সেই সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল তাঁকে। গিলানির নাতি কী ভাবে ওই চাকরি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিককালে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে আনিসুল ইসলামকে। এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু আনিস নয় এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরও চাকরি গিয়েছে কাশ্মীরে।
পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। কিছুদিন আগে মৃত্যু হয় ৯২ বছর বয়সি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার। আর তারপরই গিলানির নাতির চাকরি নিয়ে প্রশ্ন সামনে আসে। সরকারি কনভেনশন সেন্টারের রির্সাচ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন আনিস। কাশ্মীরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। কাশ্মীরের পর্যটন দফতরের অধীনে রয়েছে এই কনভেনশন সেন্টার। ২০১৬ সালে সেখানকার রিসার্চ অফিসার পদে চাকরি পান তিনি। সেই সময় কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মেহবুবা মুফতি।
জানা যায় ওই সরকারি চাকরি পাওয়ার কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে গিয়েছিলেন আনিসুল ইসলাম। আর সেখান থেকে ফেরার পরই সম্ভবত এমন কোনও চাপ তৈরি করা হয় যাতে তাঁকে চাকরি দিতে বাধ্য হয় সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একা আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে চাকরি হয়নি গিলানির নাতির। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির। পরে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আর সেই আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে সম্ভবত চাকরি দেওয়া হয়েছিল গিলানির নাতিকে।
আরও জানা যায়, ২০০৫ সাল থেকে শূন্য ছিল ওই পদ। এর আগে ওই পদ পূরণ করার ক্ষেত্রে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি সরকারের। অথচ আনিস পাকিস্তান থেকে ফেরার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়। পাকিস্তান থেকে সদ্য ফেরার পর কী ভাবে তাঁকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয় কাশ্মীরে সাম্প্রতিককালে একাধিক ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে আনিস সাহায্য করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শ্রীনগরের বিভিন্ন জায়গায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ছবি তোলার জন্য সেই ড্রোন ওড়ানো হয়। পুলিশের কাছে খবর রয়েছে, সৌদি আরব ও আরব আমিরশাহী তে বসবাসকারী ২ জঙ্গির সন্দেহভাজনের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে আনিসের।
শুধু আনিস নয়, কাশ্মীরে চাকরি গিয়েছে ফারুক আহমেদ ভাট নামে এক ব্যক্তির। তিনি সরকারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। ২০০৫ সালে তিনি চুক্তিভিত্তিতে ওই চাকরি পান, পরে ২০১০ সালে স্থায়ী পদ পান ওই শিক্ষক। জানা গিয়েছে তার ভাই মহম্মদ আমিন ভাট লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি হিসেবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কাজ করে।
আরও পড়ুন : Kerala Flood: প্রবল বৃষ্টিতে ১৮ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু, রাজ্য জুড়ে জারি অ্যালার্ট