Jammu and Kashmir: উপত্যকায় পুলিশের বাসে জঙ্গি হামলায় শহিদ ২, গুরুতর জখম ১২; বিস্তারিত তথ্য তলব প্রধানমন্ত্রীর
Terrorist Attack: শ্রীনগরের বাইরে পাঠানচকের কাছে জেওয়ানের এক পুলিশ ক্যাম্পের অদূরেই পুলিশের বাস লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।
শ্রীনগর : উপত্যকায় জঙ্গি হামলা। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে পুলিশের বাসে এলোপাথারি গুলি চালায় জঙ্গিরা। অতর্কিত হামলায় দুই জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। জখম হয়েছেন ১২ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শ্রীনগরের বাইরে পাঠানচকের কাছে জেওয়ানের এক পুলিশ ক্যাম্পের অদূরেই পুলিশের বাস লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জখম পুলিশ কর্মীদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। জঙ্গিদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
#Terrorists fired upon a police vehicle near Zewan in Pantha Chowk area of #Srinagar. 14 personnel #injured in the attack. All the injured personnel evacuated to hospital. Area cordoned off. Further details shall follow. @JmuKmrPolice
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) December 13, 2021
জঙ্গি হামলার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হামলায় শহিদ পুলিশকর্মীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
PM @narendramodi has sought details on the terror attack in Jammu and Kashmir. He has also expressed condolences to the families of those security personnel who have been martyred in the attack.
— PMO India (@PMOIndia) December 13, 2021
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েকদিন ধরেই উপত্যকায় জঙ্গি গতিবিধি বৃদ্ধির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। রবিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অবন্তীপোরায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। বারাগাম এলাকায় তল্লাশি চলাকালীনই পিছন থেকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলি চালাতেই, পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এনকাউন্টারে এক জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। ওই জঙ্গির নাম সমীর আহমেদ তান্ত্রে। গত ২ নভেম্বরই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল সে। বারাগাম এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সি- ক্যাটেগরির অধীনে ছিল।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বরও পুলওয়ামায় এনকাউন্টার অভিযান চালিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজন আবার জইশ-ইমহম্মদ গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ছিলেন। পুলওয়ামার কাশবা ইয়ার এলাকায় জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির লড়াই শুরু হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে সেই গুলির লড়াই। শেষ অবধি দুইজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
এদের মধ্যে একজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ছিলেন। আরেক জঙ্গির নাম ফুরকান, ভিনদেশী ওই জঙ্গি আইইডি বিস্ফোরক তৈরিতে পারদর্শী বলেই জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই জঙ্গিই বিগত কয়েক বছর ধরে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল।