
নয়াদিল্লি: গলায় স্টেথোস্কোপ। রোগীদের সেবায় নিয়োজিত। কিন্তু, তার পিছনে যে ওই ডাক্তারের মাথায় কী চলছিল, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি কেউ। যখন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন, তখন সবাই চমকে উঠলেন। গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা চমকে দেওয়া মতো। কেউ ডাক্তার আবার কেউ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সোমবার দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণের পর এইসব ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের জঙ্গি যোগ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার সন্ধেয় লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি ভাড়াবাড়ি থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। আর সেই ভাড়া বাড়ি দুটি একজন ডাক্তারের। ওই ডাক্তারের নাম মুজাম্মিল শাকিল। জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। কিন্তু, ফরিদাবাদে আল ফলাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে।
একজন চিকিৎসকের এভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরও একাধিক চিকিৎসকের নাম সামনে আসে। শাকিলের সঙ্গেই সামনে আসে ডাক্তার আদিল আহমেদ রাথেরের নাম। শাহীন নামে এক মহিলা ডাক্তারের গাড়ি থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আদিল ও শাহীনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে আবার মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা পুণে থেকে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করে। আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম জুবের হাঙ্গারগেকর। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জুবেরের।
গুজরাট পুলিশ আবার আহমেদ মহিউদ্দিন সৈয়দ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এমবিবিএস গ্র্যাজুয়েট। চিনে পড়াশোনা করেছেন। তারপর কর্মসূত্রে গুজরাটে চলে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, জনসাধারণের পানীয় জলে বিষাক্ত রাসায়নিক রাইসিন মেশানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। আরও দুই সঙ্গীকে নিয়ে লখনউ ও দিল্লিতে মন্দিরের প্রসাদেও বিষ মেশানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর।