AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shankaracharya: ‘১৪৪ বছর! মিথ্যে প্রচার, লুকানো হয়েছে মৃত্যু’ কুম্ভ নিয়ে ‘মহা-বিস্ফোরক’ শঙ্করাচার্য

Maha Kumbh Mela 2025: ১৪৪ বছর ১৪৪ বছর করে বলা হচ্ছে। ১৪৪ বছরের কোনও বিষয় নেই। মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে আকর্ষণ করা হয়েছে। লোক মারা গিয়েছে, আপনারা সেই মৃত্যুকে লুকোনোর কাজ করেছেন। যা ঘোর অপরাধ: শঙ্করাচার্য

Shankaracharya: '১৪৪ বছর! মিথ্যে প্রচার, লুকানো হয়েছে মৃত্যু' কুম্ভ নিয়ে 'মহা-বিস্ফোরক' শঙ্করাচার্য
Image Credit: PTI
| Updated on: Feb 20, 2025 | 7:21 PM
Share

১৪৪ বছরের কোনও বিষয় ছিল না? সবটাই সরকারের মিথ্যা প্রচার? কুম্ভে সরকারের ব্যবস্থাকে ‘কুব্যবস্থা’ ছাড়া কিছুই বলাই যায় না। বিস্ফোরক মন্তব্য জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে প্রয়াগরাজ সঙ্গমের গঙ্গার-যমুনার জল স্নানের অযোগ্য। তারপরেই মুখ খুলেছেন শঙ্করাচার্য। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা কুম্ভে সব কিছুতে অব্যবস্থাকে নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শঙ্করাচার্য।

তিনি বলেন, “৩০০ কিলোমিটার জ্যাম, খারাপ ব্যবস্থা নয় তো আর কী? যারা গিয়েছেন ২৫-৩০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে, কুব্যবস্থা নয়তো আর কী? স্নানের জলে, মল জল মিশে রয়েছে। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন এই জল স্নানের অযোগ্য, সেখানেই আপনারা কোটি কোটি ভক্তকে স্নান করতে বলছেন। তাঁরা নিজের শ্রদ্ধা-ভক্তি থেকে স্নান করছেন সেটা আলাদা বিষয়, কিন্তু এটা সরকারের কাজ ছিল, নালা-নর্দমার জল যাতে কিছুদিন না এসে পড়ে তা লক্ষ রাখা।”

আরও বলেন, “১২ বছর আগে থেকে জানতেন কুম্ভ আসছে, কেন ব্যবস্থা করলেন না। সকলে জানতেন আমাদের কাছে কতটুকু জায়গা রয়েছে, তাহলে সেই হিসাবে ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। কত লোক মারা গিয়েছন। আমি কারও পক্ষ বা বিপক্ষে কথা বলছি না, যা সত্যি তাই বলছি।”

১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভের আয়োজনকেও মিথ্যা প্রচার বলেছেন শঙ্করাচার্য। তিনি বলেন, “কোনও পরিকল্পনা নেই তার উপরে মিথ্যা প্রচার। ১৪৪ বছর ১৪৪ বছর করে বলা হচ্ছে। ১৪৪ বছরের কোনও বিষয় নেই। মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে আকর্ষণ করা হয়েছে।”

শঙ্করাচার্যের কথায়, “আপনার কাছে যখন খাবার নেই তখন লোককে খাওয়ানোর জন্য নিমন্ত্রণ করবেন কেন? মুখ্যমন্ত্রী কেন বললেন না আমাদের কাছে এত একর জমি আছে, এত একর রাস্তা আছে, এই গাড়ি রাখার জায়গা আছে। দয়া করে এই পরিমাণ লোক আসুন। দয়া করে তাঁর বেশি কেউ আসবেন না, যাতে কোনও অব্যবস্থা ছড়িয়ে পরে এবং মানুষের মৃত্যু হয়।”

আধিকারিকদের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “ব্যবস্থা কী? কেন আধিকারিকরা আছেন? তাঁদের কাজ কী? কেন ওঁদের অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়? এই কাজগুলো করার জন্যই তো! সুব্যবস্থার আয়োজন করাই দায়িত্ব।”

সরকারি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ শঙ্করাচার্য বলেন, “অন্ধের মতো মানুষকে আসতে বলা হয়েছে। আসুন, আসুন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পরে কেউ দেখার নেই কী হচ্ছে। সেতু বানানো হয়েছে, কিন্তু তা বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। কোনও সমস্যায় পড়লে কাউকে বার করার জন্য বিকল্প রাস্তার বন্দোবস্ত নেই।”

মৃত্যুকে লুকিয়েছেন, বিস্ফোরক মন্তব্য শঙ্করাচার্যের। তিনি বলেন, “ভিড় সামলানোর কোনও পরিকল্পনা নেই, আতিথেয়তা ভাল নয়। শুধু তাই নয়, লোক মারা গিয়েছে, আপনারা সেই মৃত্যুকে লুকোনোর কাজ করেছেন। যা ঘোর অপরাধ।”