নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরী নেই। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে সব রাজনৈতিক দলেই। দফায় দফায় বৈঠকে বসছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরই মধ্যে ভাঙনের সুর! এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই পরোক্ষভাবে মমতার সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতেই শোনা গেল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে। গত সপ্তাহেই দিল্লিতে বিরোধী জোটের বৈঠকে খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন মমতা। আর শরদ পাওয়ার দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ ছাড়াই জয় সম্ভব।
মুম্বইতে এক সাংবাদিক বৈঠকে জোট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শরদ পাওয়ার মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনেও ছিল না কোনও প্রধানমন্ত্রী মুখ। ভোটের পর মোরারজি দেশাইকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তাই পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে সামনে না রাখলেও অসুবিধা হবে না বলেই মনে করেন তিনি। অর্থাৎ মমতা যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা কার্যত খারিজ করে দিচ্ছেন পাওয়ার। পাওয়ারের কথায়, ‘মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই। ‘
পাওয়ারের এই বক্তব্য়ে বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। তারাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে, বিরোধী জোটের মধ্যে কতটা ফাটল তৈরি হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, মমতা দিদি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না কংগ্রেসও। তবে শরদ পাওয়ার স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিরোধী জোটের সঙ্গে কোনও বিরোধিতা করবেন না তিনি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে মমতা নাম প্রস্তাব করার পর তা মানতে চাননি খোদ মল্লিকার্জুন খাড়্গেই। তিনি বলেছিলেন, সবার আগে জয় কীভাবে আসবে, তার ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে আলোচনা হবে। এমনকী মমতার এই প্রস্তাবের পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। এবার শরদ পাওয়ারও নামলেন বিরোধিতায়?