মুম্বই: ভাইপোর কাছে হেরে গেলেন কাকা। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হলেও, প্রমাণ করতে পারলেন না আসল এনসিপি তিনিই। মহাযুতিতে সামিল হয়ে ভোটের ময়দানে বাজিমাত করল ভাইপো অজিত পওয়ারই। শোচনীয় ফল শরদ পওয়ারের এনসিপির। যেখানে অজিত পওয়ারের এনসিপি ৪১টি আসনে জয়ী হয়েছে, সেখানেই শরদ পওয়ারের এনসিপি জিতেছে মাত্র ১০টি আসনে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে এই শোচনীয় ফলের পর অনোকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তবে কি এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন শরদ পওয়ার?
বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই ৮৩ বছরের শরদ পওয়ারকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু নিজের দাপট ধরে রেখেছিলেন শরদ পওয়ার। নির্বাচনে ধরাশায়ী হতেই আবার বিরোধীরা বলতে শুরু করেছেন যে এবার অবসর নেওয়া উচিত শরদ পওয়ারের।
যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিতেই রবিবার মুখ খুললেন প্রবীণ নেতা। বললেন, “এই ফলাফল আশা করিনি। তবে বিরোধীরা যেন আবার আমার অবসরের সময় না ঠিক করে দেয়। গতকাল (শনিবার) ফল প্রকাশ হয়েছে, আজ আমি কারাদে আছি। এই ফলাফলের পর যে কেউ ঘরে বসে থাকতেন, কিন্তু আমি ঘরে বসে থাকব না। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এমন ফল পাবে, তা আশা করিনি। ওদের মনোবল বাড়াতে হবে, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। এটাই আমাদের কাজ হবে এখন।”
ভোটে বিপর্যয়ে বিরোধী দলের মর্যাদাও পায়নি মহা বিকাশ আগাড়ির জোট সদস্যরা। এই বিষয়ে শরদ পওয়ারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “বিরোধী দলের কোনও নেতা না থাকলেও, একজন বিরোধী নেতা থাকবেনই। ১৯৮০ সালেও আমাদের ৫২ জন বিধায়ক ছিল। তখনও বিরোধী দল ছিল না। রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দল না থাকা এই প্রথম নয়। আগেও দু-তিনবার হয়েছে।”
তাঁর দলকে ছাপিয়ে ভাইপো অজিত পওয়ারের দলের দারুণ ফল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, শরদ পওয়ার বলেন, “ভোটে জিতলেও, এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা কে, তা জানা উচিত।”
শরদ পাওয়ার বলেছেন যে অজিত পাওয়ারের আসন বেড়েছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না, কিন্তু মহারাষ্ট্রের জানা উচিত কে এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, আমাদের সহকর্মী ও কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এর সাথে কোন সমস্যা নেই। প্রধান নেতারা খুব পরিশ্রম করেছেন। আমি জানি না কেন এটা ঘটেছে. এ বিষয়ে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে।