ভোপাল: কাপে সুন্দর করে সাজানো চা, তবে হাত দিতেই দেখা গেল, এ তো পুরো ঠান্ডা জল! সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হল সেই চা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে ঠান্ডা চা দেওয়ার সাহস দেখাল কে? কারণ জানতে চেয়েই নোটিস ধরানো হল সরকারি আধিকারিককে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই ওই নোটিস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ঠান্ডা চা দেওয়ার জন্য শো-কজ নোটিস ধরানো হয় জুনিয়র সাপ্লাই অফিসার রাকেশ কানাউহাকে। ভিআইপি ডিউটিতে যে প্রোটোকল রয়েছে, তা ভঙ্গ করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ওই চা মুখে দিয়ে দেখেননি বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার মধ্য প্রদেশের স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারে খাজুরাহোয় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সেখানে একের পর এক কর্মসূচি ছিল তাঁর। ব্যস্ততার মাঝেই তিনি একফাঁকে প্রাতঃরাশ সারতে খাজুরাহো বিমানবন্দরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে চা ও খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ওই চা ঠান্ডা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে জুনিয়র সাপ্লাই অফিসার রাকেশ কানাউহাকে নোটিস পাঠান সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ডিপি দ্বিবেদী। ওই নোটিসে বলা হয়, “মুখ্যমন্ত্রীর জলখাবার ও চায়ের বন্দোবস্তের জন্য আপনার উপরে ভরসা করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে যে চা দেওয়া হয়েছিল, তা গুণগতমানে সঠিক ছিল না এবং ঠান্ডা চা পরিবেশন করা হয়েছিল। ভিআইপি ডিউটির প্রোটোকল ভঙ্গ করা হয়েছে।”
নোটিসে জানানো হয়েছে যে, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় এইধরনের গাফিলতি জেলা প্রশাসনেকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, আগামী তিনদিনের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। যদি ওই আধিকারিক জবাব না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
যদিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি জানাজানি হতেই সমালোচনার ঝড়় ওঠে। এরপরে জেলা প্রশাসনের তরফে এই নোটিস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বলেই জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার সমালোচনা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, “সাধারণ মানুষ রেশন বা অ্যাম্বুলেন্স নাই-ই পেতে পারেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে ঠান্ডা চা দেওয়া যাবে না।”