নয়া দিল্লি: আফতাব আমিন পুনাওয়ালা, এই নামটি এখন সকলের কাছেই পরিচিত। লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন ও তাঁর দেহ কেটে কেটে ৩৫ টুকরো করে আফতাব। এরপরে ১৮ দিন ধরে দিল্লির ছত্তরপুরের জঙ্গল ও আশেপাশের এলাকায় সেই দেহের টুকরো ফেলে আসে অভিযুক্ত। এখনও অবধি পুলিশ মাত্র ১৩টি টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে। শ্রদ্ধার মাথা সহ দেহের একাধিক অংশের খোঁজ মেলেনি এখনও। শ্রদ্ধাকে খুনের ঘটনা জানা গিয়েছিল আগেই। এবার তাঁর দেহ নিয়ে কী কী করেছিল আফতাব, সে বিষয়েও জানা গেল। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকা শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করতে মোট ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল আফতাবর। এরমধ্যে মাঝে মাঝেই সে বিরতি নেয়, কখনও বিয়ার, কখনও সিগারেট খায়। এমনকী অনলাইনে খাবার অর্ডার করেও খায় সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব পুনাওয়ালা জানিয়েছেন শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করতে তাঁর ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। খুনের পরের দিন অর্থাৎ ১৯ মে আফতাব শ্রদ্ধার দেহ বাথরুমে নিয়ে যায়। সেখানেই একে একে দেহের টুকরো করতে শুরু করে। মাঝেমধ্যেই জলের কল ও শাওয়ার চালিয়ে রক্ত ধুয়ে নিয়েছিল সে। যখনই ক্লান্ত বোধ করছিল, তখনই সে বিরতি নিচ্ছিল। দেহ টুকরো টুকরো করার মাঝে বিয়ার, সিগারেট খেয়েছিল সে। অনলাইনে খাবারও অর্ডার করে সে।
শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করার পর, খুব হিসাব-নিকেশ করেই তাঁর দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে আফতাব। ঘরে যাতে রক্তের দাগ না থাকে, তার জন্য গরম জল, জীবাণুনাশক ও ব্লিচ দিয়ে ঘর মোছে সে। বাথরুমে নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে, মাঝে মধ্যেই ‘কাজ’ থামিয়ে রক্ত ধুয়ে ফেলে। খিদে পাওয়ায় জ্যোমাটো থেকে খাবার অর্ডার করে আফতাব। এরপরে কিছুক্ষণ নেটফ্লিক্সে সিনেমাও দেখে সে। শ্রদ্ধার দেহ রাখার জন্য ৩০০ লিটারের নতুন ফ্রিজও কিনেছিল আফতাব। পচা গন্ধ লুকাতে সর্বক্ষণ ধূপকাঠিও জ্বালিয়ে রাখত।