Shree Ram-Non Vegetarian Controversy: ‘রামচন্দ্র নিরামিষাশী ছিলেন না’, বিতর্কিত মন্তব্যের পর এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে FIR

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 04, 2024 | 12:55 PM

Lord Ram: শ্রীরাম ক্ষত্রিয় ছিল বলেই মনে করা হয়। এই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, ক্ষত্রিয়রা তো আমিষ খেতেন। এনসিপি নেতার দাবি, ভারতকে নিরামিষভোজী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের ৮০ শতাংশ জনগণই আমিষ খান এবং তারা রাম-ভক্তও। 

Shree Ram-Non Vegetarian Controversy: রামচন্দ্র নিরামিষাশী ছিলেন না, বিতর্কিত মন্তব্যের পর এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে FIR
শ্রী রাম-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মুম্বই: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই নয়া বিতর্ক। শ্রী রামকে (Shree Ram) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (Nationalist Congress Party) নেতা জীতেন্দ্র আওহাদ। বুধবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, এনসিপি নেতা বলছেন, “শ্রী রাম আমিষভোজী”। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কী বলেছিলেন এনসিপি নেতা?

এনসিপি নেতা জীতেন্দ্র আওহাদ বলেন, “রাম আমাদের। উনি বহুজন। রাম শিকার করে খেতেন। আপনারা চান আমরা নিরামিষভোজী, কিন্তু আমরা ওঁকে আদর্শ বলে মনে করি এবং মাটন খাই। রাম নিরামিষভোজী নন, উনি আমিষভোজী।”

শ্রীরাম ক্ষত্রিয় ছিল বলেই মনে করা হয়। এই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, ক্ষত্রিয়রা তো আমিষ খেতেন। এনসিপি নেতার দাবি, ভারতকে নিরামিষভোজী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের ৮০ শতাংশ জনগণই আমিষ খান এবং তারা রাম-ভক্তও।

জীতেন্দ্র আওহাদ বলেন, “শ্রী রাম কী খেতেন, তা নিয়ে কী বিতর্ক? কেউ দাবি করবেন যে মেথি-ভাজি খেতেন। শ্রী রাম ক্ষত্রিয় ছিলেন আর ক্ষত্রিয়রা আমিষ খেতেন। আমি যা বলেছি, তা থেকে এক চুলও নড়ব না। দেশের ৮০ শতাংশ নাগরিক আমিষ খাবার খান। তারা রামেরও ভক্ত।”

তিনি আরও বলেন, “একজন ১৪ বছর জঙ্গলে ছিলেন। কোথা থেকে উনি নিরামিষ খাবার খুঁজে পেতেন? আমি কি ঠিক বলছি না ভুল? আমি ঠিক কথাই বলি।”

এদিকে, এনসিপি নেতার এই মন্তব্যের পরই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপির তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়। এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর-ও দায়ের হয়। বিজেপি বিধায় রাম কদম এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “যদি আজ বালাসাহেব ঠাকরে জীবিত থাকতেন, তবে শিবসেনার মুখপত্র সামনায় রাম আমিষভোজী ছিলেন, এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হত। কিন্তু বাস্তবটা হচ্ছে, আজকের উদ্ধব সেনার কিছু যায়-আসে না হিন্দুত্ব নিয়ে। শুধু যখন নির্বাচন আসে, তখন তারা হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলে।”

Next Article