নয়া দিল্লি: ১০০ কোটি টিকাকরণের (Vaccination) মাইলফলক সদ্য পার করেছে ভারত। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়া হলেও শিশুদের টিকাকরণ হয়নি এখনও। তাই ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য যাতে টিকা দ্রুত আনা সম্ভব হয় তার জন্য গবেষণা চলছে নিরন্তর। সম্প্রতি কোভ্যাকসিন (Covaxin) শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য ছাড়পত্রও মিলেছে। এরই মধ্যে আশার কথা শোনালেন সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা ।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই কোভোভ্যাক্স অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই কোভোভ্যাক্স বেছে নেওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। যদিও আগেই আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, কোভোভ্যাক্সের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাসেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পুনাওয়ালা ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, যে, সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরিতে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।
কোভোভ্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য ইতিমধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউটে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, সম্ভবত আমরা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ছাড়পত্র পেয়ে যাব।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন আগেই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ডিসিজিআই থেকে কোভোভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের নোভাভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করতে চলেছে সংস্থাটি৷
ড. ভি কে পাল জানিয়েছেন শীঘ্রই শিশুদের টিকাকরণ শুরু হবে। তবে ঠিক কবে থেকে সেই টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও স্থির করেনি সরকার। তিনি জানান, একদিকে কোন ভ্যাকসিন শিশুদের ওপর সঠিকভাবে কাজ করবে, সে দিকে যেমন নজর রাখতে হবে, তার পাশাপাশি কোন ভ্যাকসিনের যোগান রয়েছে সেটার ওপর নির্ভর করবে শিশুদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া।
পুজোর মধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে যে, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়ার কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগেই ছোটদের দেওয়ার জন্য জ়াইকোভ ডি (ZyCov- D) ও কোভ্যাক্সিনকে ড্রাগ কন্ট্রোলের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
টিকা নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) ১৮ বছরের কম বয়সিদের করোনা টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করেছে আগেই। জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাজেশনের (Central Drug Standard Control Organization) কাছে জমা দেওয়া হয়। শেষ ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত কোভ্যাক্সিনের মতোই ছোটদের কোভ্যাক্সিনও শিশুদের জন্য নিরাপদ। তবে চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে এই টিকার ক্ষেত্রেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন : রাজ্যে রঙের কারখানা তৈরি করছে নামজাদা শিল্পগোষ্ঠী, প্রচুর কর্মসংস্থান হতে চলেছে বাংলায়