
নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে চলছে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন। পশ্চিমবঙ্গ সহ ৯ রাজ্যে এখন এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চলছে। এরপরে বাকি রাজ্যেও এসআইআর শুরু হবে। এসআইআর নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন, নাগরিকদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) থাকা বাধ্যতামূলক। তাহলে তা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে কেন তা গণ্য করা হবে না? এবার আধার কার্ড নিয়েই বড় আপডেট দিল নির্বাচন কমিশন।
৯ রাজ্যে ৫১ কোটি ভোটারদের নিয়ে এসআইআরের দ্বিতীয় দফা চলছে। এর মাঝেই নির্বাচন কমিশনের তরফে ফের একবার জানানো হল, আধার কার্ড শুধুমাত্র পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসাবেই গণ্য করা হবে। নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে নয়।
নির্বাচন কমিশনের তরফে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে বলা হয়েছে, “নির্বাচনী তালিকায় সংযোজন বা বাদ যাওয়ার প্রমাণ নয় আধার কার্ড। এটা শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হিসাবে গণ্য করা হবে, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে নয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৩(৪) ধারায় এটি শুধুমাত্র পরিচয় প্রমাণ করতে ব্যবহার হবে। রেজিস্ট্রেশন অব ইলেকশন রুলের অধীনে ফর্ম-৬ এ জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে আধারের ব্যবহার ২০২৩ সালে ২২ অগস্ট ইউআইডিএআই (UIDAI)-র নির্দেশিকার সম্পূর্ণ বিপরীত।”
হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টের গত ৯ সেপ্টেম্বরের নির্দেশও উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল যে এসআইআর প্রক্রিয়ায় আধার কার্ড শুধুমাত্র পরিচয় প্রমাণে ব্যবহার করা হবে। নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে নয়।
গত ২৭ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, ছত্তীসগঢ়, উত্তর প্রদেশ, গোয়া, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা করে।
এসআইআরের প্রথম পর্বে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি ও পূরণের পর তা সংগ্রহ করবেন। অন্তত তিনবার করে যেতে হবে বিএলও-দের। এরপরে প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপরে নির্দিষ্ট সময় থাকবে নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়ার। শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। যদি কারোর নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে তিনি ভোটাধিকার হারাবেন।