
নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই বাংলায় SIR। বাংলায় ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিংয়ের কাজের সময়েই বিএলও-দের ওপর হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সোমবার CEC জ্ঞানেশ কুমার যখন সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখনও এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এক সাংবাদিক। BLO-দের নিরাপত্তার জন্য কমিশনের তরফ থেকে কি কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে?
প্রশ্নের উত্তরে CEC জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “আশা করব, এরকম ধরনের কোনও ঘটনা ঘটনা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। আমার মনে হয় না এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে কমিশনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।”
বাংলায় SIRএর আগেই BLO-দের ওপর চাপ তৈরি করার অভিযোগ ওঠে। সেনার নিরাপত্তা চেয়ে CEO-কে চিঠিও দেন BLO-দের একাংশের। BLO-দের কাজ হল, তাঁরা প্রত্যেকের বাড়ি যাবেন, তাঁরা এনুমেরেশন ফর্ম দেবেন। অভিযোগ, তার আগে থেকেই তাঁদেরকে বলা হচ্ছে, আধার কার্ড রয়েছে, আধারের ওপর ভিত্তি করে যেভাবেই হোক, তাঁদের নাম তুলে দিতে হবে। বহু BLO- এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের একাংশকে ভয় দেখাতে বন্দুকও দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার কোনও ক্ষেত্রে প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রশ্ন উঠছে, যেখানে এনুমেরেশন ফর্মই এখনও ছাপা হয়নি, তার আগে থেকেই কীভাবে হুমকির শিকার হতে হচ্ছে? কলকাতার যে সমস্ত জায়গাগুলো থেকে এই ধরনের অভিযোগ উঠছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এর মধ্যে গুলশন কলোনি, খিদিরপুর এলাকা রয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে CEC-র কাছে এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করা হয়। CEC বলেন, “সাংবিধানিক সংস্থাকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। সংবিধান বলছে, রাজ্যে নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে গেলে, নির্বাচন কমিশনের যত জন নির্বাচনী কর্মীর প্রয়োজন, তা রাজ্য ডেপুটেশন দিয়ে দিতে বাধ্য। আর সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট রাজ্যেরই দায়িত্ব।”