Manipur Violence: ইয়েচুরির নেতৃত্বে আজ হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুরে সিপিএম, থামছে না হিংসা, ফের মৃত্যু ৩ ব্যক্তির

CPIM delegation to Manipur: হিংসা-ধ্বস্ত এলাকাগুলিতে যাবেন তাঁরা। এছাড়া, চুরাচাঁদপুর, মইরাং এবং ইম্ফলের ত্রাণ শিবিরগুলিও পরিদর্শন করবেন তাঁরা। ইম্ফলে রাজ্যপাল অনসুয়া উইকে এবং মণিপুরের বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংস্থাগুলির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

Manipur Violence: ইয়েচুরির নেতৃত্বে আজ হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুরে সিপিএম, থামছে না হিংসা, ফের মৃত্যু ৩ ব্যক্তির
সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে দুইদিনের মণিপুর সফরে যাচ্ছে সিপিআইএম চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দলImage Credit source: ANI

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 18, 2023 | 12:09 PM

নয়া দিল্লি: শুক্রবার (১৮ অগস্ট) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে দুইদিনের মণিপুর সফরে যাচ্ছে সিপিআইএম চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ২০ অগস্ট পর্যন্ত উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে সফর করবে সিপিআইএম-এর প্রতিনিধি দলটি। ইয়েচুরি ছাড়া এই দলে রয়েছেন, সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী, সুপ্রকাশ তালুকদার এবং দেবলীনা হেমব্রম। সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে যাবেন তাঁরা। এছাড়া, চুরাচাঁদপুর, মইরাং এবং ইম্ফলের ত্রাণ শিবিরগুলিও পরিদর্শন করবেন তাঁরা। ইম্ফলে রাজ্যপাল অনসুয়া উইকে এবং মণিপুরের বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংস্থাগুলির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

এদিন নয়া দিল্লি থেকে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হয় সিপিআইএম প্রতিনিধি দলটি। বিমানবন্দরে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “আমরা মণিপুরের জনগণের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আমরা তাদের বলতে চাই, গোটা ভারত আপনাদের পাশে আছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত। শান্তি ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার, আমরা করব। রাজ্যের পরিস্থিতি বিপজ্জনক, এবং অবিলম্বে হিংসা বন্ধের প্রয়োজন। দেশের ঐক্যের জন্য এই হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”

গত মাসে সিপিআইএম এবং সিপিআই-এর এক যৌথ প্রতিনিধি দল হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুরে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, জন ব্রিতাস, বিনয় বিশ্বম, কে সুব্বারায়ণ এবং পি সন্দোষ কুমার। ৬ থেকে ৯ জুলাই , উপত্যকা ও পাহাড়ের আশ্রয় শিবির এবং বিভিন্ন হিংসা-ধ্বস্ত স্থানগুলি পরিদর্শন করেছিলেন তাঁরা। রাজ্য পরিদর্শনের পর তাঁরা জানিয়েছিলেন, রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হল বীরেন সিং সরকার। যতদিন এন বীরেন সিং-এর সরকার ক্ষমতায় আছে, রাজ্যে শান্তি পেরানো প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। সুশীল সমাজের সঙ্গে সমস্ত সম্প্রদায় এবং অংশের মানুষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলির সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা।


জুলাইয়ের শেষে, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ২০ জন সাংসদের এক প্রতিনিধি দলও হিংসা-কবলিত মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন। কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী, কে সুরেশ ও গৌরব গগৈ, তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, ডিএমকে-র কানিমোঝিদের সঙ্গে আরএসপি-র থিরামচন্দ্রন ভিসিকে, সিপিআই-এর সন্দোষ কুমার, সিপিআইএম-এর এএ রহিম-ও রাজ্যে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং সমাধানের জন্য সংসদে তাঁরা বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দলটি মেইতেই এবং কুকি – দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গেই দেখা করেছিলেন তাঁরা। ৩মে থেকে মণিপুরে হিংসা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছেন।

স্বাধীনতা দিবসের দিন, লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। তবে, শুক্রবার (১৮ অগস্ট) সকালে, মণিপুরের উখরুল জেলায় ফের সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে কুকি সম্প্রদায়ের তিন ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, উখরুল শহর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুকি গ্রাম থুয়াই কুকিতে, এদিন ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ এই হামলা হয়।