ইম্ফল: হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এরইমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে লজ্জাজনক ভিডিয়ো। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হচ্ছে। অভিযোগ, ওই মহিলাদের ধর্ষণও করা হয়। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিরোধী দল, এমনকী সুপ্রিম কোর্টের তরফেও এই ঘটনায় ধিক্কার জানানো হয়েছে। ইতিমধ্য়েই অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চার অপরাধীকে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন দশা দেখে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফার দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে পোস্ট করা হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, ইস্তফা দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। আপাতত তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখতে আগ্রহী বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
গত মে মাসের শুরু থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে মণিপুরে। কুকি ও মেতেই জনজাতির মধ্যে সংরক্ষণ নিয়ে বিবাদ সংঘর্ষ, দাঙ্গায় পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক দায়িত্ব পূরণে ব্যর্থ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী, এই অভিযোগে গত জুন মাস থেকেই এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফার দাবি তোলা হয়েছিল। জুন মাসে ইস্তফা দিতেও রাজি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়, ছিঁড়ে ফেলা হয় ইস্তফাপত্র।
চলতি সপ্তাহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ফের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফার দাবি তোলা হয়। গতকাল থেকে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও রাজ্যের মহিলাদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফার দাবি তোলা হয়। তবে সূত্রের খবর এখনই এন বীরেন সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হবে না।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বদলানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য হল মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। অপর একটি সূত্রে আবার জানানো হয়েছে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ দিন সকালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুকি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মহিলাদের নিগ্রহের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।