মুম্বই: মাদককাণ্ডে গ্রেফতার আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) বৃহস্পতিবার ফের তোলা হবে আদালতে। এদিনই আরিয়ানের এনসিবি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এদিন শাহরুখ-পুত্রকে জামিন দেওয়া হয় নাকি বাড়ানো হয় এনসিবি হেফাজতের সময়, এখন সেদিকেই নজর।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামে এক প্রমোদতরীতে তিনদিনের একটি মিউজিক্যাল সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের তাবড় ব্যক্তিত্ব এই সফরে সঙ্গী হন। ক্রে’আর্ক শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া। আগামী ৪ অক্টোবর তা গোয়া ঘুরে ফের মুম্বইতে ফেরত আসার কথা ছিল। এদিকে এই প্রমোদতরণী নিয়ে এনসিবির কাছে আগাম ড্রাগ-মজুতের খবর যায়। সেই ড্রাগ যে এই প্রমোদ-সফরের বড় অংশ হতে চলেছে তাও জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
এরপরই একেবারে বলিউডি কায়দা সেই তরণীতে ওঠেন বেশ কয়েকজন এনসিবি কর্তা। কর্ডেলিয়া ক্রুজে তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছে উঠে আসে একের পর এক মাদকের খোঁজ। কোকেন, এমডিএমএ, এক্সটেসি বাদ ছিল না কিছুই। এরপরই মাদক রাখার প্রমাণ পাওয়ায় আটজনকে আটক করা হয়। সেখানে ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানও। গত শনিবার রাতে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় কিং খানের পুত্রকে।
গত ৪ অক্টোবর এই মামলার শুনানি ছিল। সেদিন আদালতে এনসিবি জানায়, আরিয়ান খানের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে এমন কিছু তথ্য মিলেছে যা ড্রাগ পাচারকারী ও ড্রাগ লেনদেন সংক্রান্ত। তাই তারা আরিয়ানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা-তিনজনকে জেরার জন্য আদালত ৭ অক্টোবর অবধি সময় দেয়।
বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যেই আদালতে আরিয়ান খানের আইনজীবী দাবি করেছেন, আরিয়ান সেখানে কোনও মাদক কারবারী হিসাবে যাননি। বরং তাঁকে ওই প্রমোদতরীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অতিথি হিসাবে। কোনও আসন বা কেবিনও তাঁর নামে বুক ছিল না। আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে আরিয়ানের সঙ্গে মাদকচক্রীদের যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। তাঁকে মাদক বিক্রি করতে হবে কেন?
সতীশের বক্তব্য, “জাহাজে মাদক বেচার প্রয়োজন নেই আরিয়ানের। যদি সে চাইত গোটা জাহাজটাই কিনে নিতে পারত।” পাশাপাশি তিনিও এও দাবি করেন ওই প্রমোদতরীতে বন্ধুর ডাকে গিয়েছিলেন আরিয়ান। যদিও এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, “আমরা নিয়মকানুনে জোর দিই সবসময়। আর আইন তো সকলের জন্যই সমান। তা হলে কি আমরা নিয়ম ভাঙা সত্ত্বেও কেউ জনপ্রিয় বলে ছেড়ে দেব? জনপ্রিয় হলেই কি আইন ভাঙার অধিকার জন্মে যায় নাকি কারও? আমরা যদি দেখি কোনও নামজাদা মানুষ আইন ভাঙছেন, তা হলে কি চোখ বন্ধ করে থাকব?”
আরও পড়ুন: Dumdum: কানে ইয়ারফোন লাগানো, কারখানার ছাদে হাঁটু মুড়ে বসে যুবক ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন…