
নয়া দিল্লি: এসএসসি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত স্বস্তি মিলেছে ২০১৬ সালের এসএসসির প্য়ানেলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের। আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও অবশ্য বলছেন, ‘যদি কেউ দেখাতে পারে ঠিকভাবে নিয়োগ হয়েছে, নিয়োগের পিছনে কোনও দুর্নীতি নেই… তার চাকরি যাবে কেন? তার চাকরি থাক। তাঁর চাকরি নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা চাই স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হোক। সেই স্বচ্ছতা নিয়েই শুনানি হচ্ছে।’
এসএসসির এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির কথা ছিল সোমবার। তবে শেষ পর্যন্ত গতকাল শুনানি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, তাঁরা ঠান্ডা মাথায় শুনতে চান মামলাটি। তারপর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় শুনানি। চলে বিকেল পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ সম্ভব হলে, শুধুমাত্র যাঁদের বেআইনি নিয়োগ, তাঁদেরই চাকরি বাতিল হওয়া উচিত। পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই। এদিন শুধু চাকরি বাতিলের উপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত, সঙ্গে এও জানিয়েছে এখনই কাউকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না। সেটার উপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে নিয়োগ বেআইনি প্রমাণিত হবে টাকা ফেরত দিতে হবে, এই মর্মে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে আজ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। এদের মুচলেকা দিতে হবে। যাদের নিয়োগ বেআইনি প্রমাণিত হবে, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে।’ উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধেও এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। সে প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘এখানে রাজ্যের স্বস্তি-অস্বস্তির বিষয় নয়। বেআইনি কাজ হয়েছে বলেই সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছে। ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট দুর্নীতি হয়েছে। এবার দুর্নীতির ফলে কারা কারা সুবিধা পেয়েছেন, কোন কোন নিয়োগ দুর্নীতি করে হয়েছে, সেটা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। দুর্নীতি হয়েছে সেটা আদালত বুঝতে পারছে।