
নয়া দিল্লি: ২৬ হাজার চাকরিহারাকে নতুন করে নিয়োগের পরীক্ষা দিয়ে চাকরি ফেরাতে হবে। চাকরিহারারা বারবার পরীক্ষা না দেওয়ার আর্জি জানালেনও কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ায় আপাতত পরীক্ষা হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিছিয়ে যেতে পারে পরীক্ষা।
আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগের পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে চাকরিহারাদের একাংশ দাবি করে, তারা সুপ্রিম রায়ের অপেক্ষায় ছিল, তাই ফর্ম ফিল আপ করেনি। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, অযোগ্য বাদে বাকি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে, তার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছনো যেতে পারে।
যাঁরা ফর্ম ফিল আপ করেননি, তাঁদের জন্য আরও ১০ দিন সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার জন্য যদি পরীক্ষার দিন পিছোতে হয়, তাহলে রাজ্য ও এসএসসি সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এছাড়া আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল চাকরিহারাদের তরফে। ২০১৬ সালে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর যোগ্যতা হিসেবে ধার্য করা হয়েছিল। এবার সেই নম্বর বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সে ক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন অনেক চাকরিহারা। এই নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই ক্ষেত্রেও নির্দেশ দিয়েছে যে, যোগ্য চাকরিহারাদের ক্ষেত্রে এই নম্বর ধার্য করা হবে না অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই চাকরিতে বসতে পারবেন যোগ্য চাকরিহারারা।