
নয়া দিল্লি: সংঘাত তৈরি করেছিল নিজেরাই, এখন বিপাকে পড়ে ভারতের পা-ই ধরতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানকে সবক শেখাতে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। এদিকে, সিন্ধুর জল বন্ধ হতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তাই জল পেতে ভারতকে চিঠি পড়শি দেশের। তাও আবার একটা নয়, পরপর চারটি চিঠি পাঠিয়েছে পাকিস্তান, এমনটাই সূত্রের খবর।
সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই পাকিস্তানে জলসঙ্কট দেখা দিচ্ছিল। মাঝে আবার চন্দ্রভাগা বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছিল। তবে তাতে পাকিস্তানের সঙ্কট মেটেনি। বরং পাকিস্তানে ক্রমে জল সঙ্কট ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সেক্রেটারি সইদ আলি মুর্তাজা ভারতের জলশক্তি মন্ত্রকে চারটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তা বিদেশ মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ভারত তার অবস্থানে স্থির। তারা সাফ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও বাণিজ্য একসঙ্গে হতে পারে না। রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না। পাকিস্তান যতদিন সন্ত্রাসবাদ ও তাতে উসকানি বন্ধ করছে না, ততদিন সিন্ধু জলচুক্তিও স্থগিত থাকবে।
অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, পঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান, প্রতিটি হামলাই প্রতিহত করেছে ভারত। পরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হলেও, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতই রয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একাধিকবার ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশ্বমঞ্চে বারবার তিনি বলেছেন যে ভারতের সঙ্গে সংঘাত মেটাতে আলোচনা করতে চান তারা।
এদিকে, পাকিস্তানের অন্দরেও শেহবাজ শরিফের উপরে বাড়ছে চাপ। গত মাসেই পাক সাংসদ সইদ আলি জাফর বলেছিলেন, “যদি এখনই জলসঙ্কট না মেটে, তাহলে আমরা না খেয়ে মরে যাব। সিন্ধু আমাদের লাইফলাইন, তিন-চতুর্থাংশ জলই দেশের বাইরে থেকে আসে। ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই সিন্ধুর জলের উপরে নির্ভরশীল। আমাদের চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশই সিন্ধুর জল দিয়ে হয় এবং বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাঁধও এর উপরেই তৈরি। আমাদের উপরে জলবোমা ঝুলছে, আমাদের এই বোমা নিষ্ক্রিয় করতেই হবে।”