নয়া দিল্লি: ফের পথকুকুরদের (Stray Dogs) হামলার মুখে শিশু। একেবারে দুই শিশুকে কামড়ে, ছিঁড়ে খেল পথকুকুরেরা। এবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। পথকুকুরদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ বছর ও ৭ বছর বয়সি দুই ভাইয়ের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত দুই শিশুর নাম আনন্দ (৭) এবং আদিত্য (৫)। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ সিন্ধি বস্তি এলাকার বাসিন্দা এই দুই শিশুর মধ্যে আনন্দ গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। রবিবার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর কুকুরদের মুখ থেকে আদিত্যকে দু-দিন আগে উদ্ধার করা গেলেও বাঁচানো যায়নি।
মৃত শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল বসন্ত কুঞ্জের সিন্ধি বস্তি এলাকার বাসিন্দা আনন্দ। গত দু-দিন খোঁজাখুঁজির পর এদিন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের স্টেশন হাউস অফিসার বলেন, “ভাইকে খুঁজতে গত শুক্রবার মায়ের সঙ্গে বেড়িয়েছিল আনন্দ। তারপর সে নিখোঁজ হয়ে যায়। দু-ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ আমরা জঙ্গল সংলগ্ন একটি ফাঁকা এলাকায় দেওয়ালের পাশে শিশুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই। তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। ক্ষতগুলি কোনও পশুর দ্বারাই হয়েছে বলে একপ্রকার স্পষ্ট। ঘটনার তদন্তে দেহটি সফদরজং হাসপাতালের ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।” সাধারণত, ওই এলাকায় অন্য কোনও বন্য পশু নেই। ফলে কুকুরের আক্রমণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ ওই একই এলাকা থেকে পথকুকুরদের হামলায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল আনন্দের ছোট ভাই আদিত্য। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানান, আদিত্য তার তুতো ভাই চন্দনের সঙ্গে ওই জঙ্গল এলাকায় প্রস্রাব করতে গিয়েছিল। আদিত্যের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিল চন্দন। কিছুক্ষণ পর আদিত্য যেখানে ছিল সেখানে চন্দন ফিরে আসে এবং দেখে আদিত্যকে কতগুলি পথপুকুর ঘিরে ধরেছে। পথকুকুরদের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে আদিত্য। তারপর তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে কুকুরদের মুখ থেকে আদিত্যকে উদ্ধার করেন। কিন্তু, হাসপাতালে পাঠানো হলেও ছোট্ট আদিত্যকে বাঁচানো যায়নি। ফলে আদিত্যর মতো আনন্দও কুকুরদের হামলারই শিকার হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তবে শুয়োর ও ছাগলও ওই এলাকায় রয়েছে। তাই ঘটনার তদন্তে FSL ও অপরাধ দমন টিম পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।