ভোপাল: হিজাব বিতর্কে (Hijab Controversy) নয়া মোড়। কর্নাটকের পর এবার মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh) কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হল। জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের সাতনায় একটি কলেজে একদল পড়ুয়া হিজাব পরা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়।এরপরে কর্মাসের এক ছাত্রীকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি (Apology Letter) লেখানো হয়। সরকারি কলেজে হিজাব ও বুরখা পরে আসার জন্যই নাকি ওই মুসলিম ছাত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসপি সিং রুকসানা খান নামক ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধেই বিনা কারণে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “কলেজে পরীক্ষা চলছে। অ্যাডমিট কার্ডে স্পষ্ট লেখা ছিল পড়ুয়াদের কলেজ ইউনিফর্ম ও মাস্ক পরেই পরীক্ষা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত এই প্রথমবার নেওয়া হয়নি। রুকসানা এতদিন কলেজ ইউনিফর্ম পরেই আসত, কিন্তু শুক্রবার সে বুরখা পরে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন পড়ুয়া অশান্তির সৃষ্টি করে এবং ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায়। তবে আমরা গোটা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনি এবং কলেজের নিয়ম ভাঙ্গার জন্য ওই পড়ুয়াকে ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি লিখতে বলি।”
গোটা ঘটনাটির ভিডিয়ো করে এক পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই, তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, বর্তমানে হিজাব নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তা কেন্দ্র করেই সুযোগের সদব্যবহার করতে চেয়েছিল রুকসানা। এক পড়ুয়া বলেন, “আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি, নাহলে প্রতিবাদ স্বরূপ আমরাও গেরুয়া স্কার্ফ পরে আসব।”
রুকসানা খান নামক যে ছাত্রীকে ঘিরে বিতর্ক, তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে, কংগ্রেসের তরফে ওই কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। মধ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখপাত্র অজয় যাদব বলেন, “কে কি পোশাক পরবে, তার সিদ্ধান্ত বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি। কদিন আগেই রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে হিজাব নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই।ওনার উচিত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।” রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব জানান, তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে গোটা ঘটনায় তিনি দৃষ্টিপাত করবেন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মধ্য় প্রদেশের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পরমার কর্নাটকের হিজাব বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা উচিত। আগামী শিক্ষাবর্ষেই ইউনিফর্ম নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হবে”। যদিও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানান, রাজ্যে হিজাব নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই এবং সরকারের তরফে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও কোনও পরিকল্পনা নেই।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
ভোপাল: হিজাব বিতর্কে (Hijab Controversy) নয়া মোড়। কর্নাটকের পর এবার মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh) কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হল। জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের সাতনায় একটি কলেজে একদল পড়ুয়া হিজাব পরা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়।এরপরে কর্মাসের এক ছাত্রীকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি (Apology Letter) লেখানো হয়। সরকারি কলেজে হিজাব ও বুরখা পরে আসার জন্যই নাকি ওই মুসলিম ছাত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসপি সিং রুকসানা খান নামক ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধেই বিনা কারণে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “কলেজে পরীক্ষা চলছে। অ্যাডমিট কার্ডে স্পষ্ট লেখা ছিল পড়ুয়াদের কলেজ ইউনিফর্ম ও মাস্ক পরেই পরীক্ষা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত এই প্রথমবার নেওয়া হয়নি। রুকসানা এতদিন কলেজ ইউনিফর্ম পরেই আসত, কিন্তু শুক্রবার সে বুরখা পরে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন পড়ুয়া অশান্তির সৃষ্টি করে এবং ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায়। তবে আমরা গোটা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনি এবং কলেজের নিয়ম ভাঙ্গার জন্য ওই পড়ুয়াকে ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি লিখতে বলি।”
গোটা ঘটনাটির ভিডিয়ো করে এক পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই, তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, বর্তমানে হিজাব নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তা কেন্দ্র করেই সুযোগের সদব্যবহার করতে চেয়েছিল রুকসানা। এক পড়ুয়া বলেন, “আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি, নাহলে প্রতিবাদ স্বরূপ আমরাও গেরুয়া স্কার্ফ পরে আসব।”
রুকসানা খান নামক যে ছাত্রীকে ঘিরে বিতর্ক, তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে, কংগ্রেসের তরফে ওই কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। মধ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখপাত্র অজয় যাদব বলেন, “কে কি পোশাক পরবে, তার সিদ্ধান্ত বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি। কদিন আগেই রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে হিজাব নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই।ওনার উচিত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।” রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব জানান, তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে গোটা ঘটনায় তিনি দৃষ্টিপাত করবেন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মধ্য় প্রদেশের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পরমার কর্নাটকের হিজাব বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা উচিত। আগামী শিক্ষাবর্ষেই ইউনিফর্ম নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হবে”। যদিও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানান, রাজ্যে হিজাব নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই এবং সরকারের তরফে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও কোনও পরিকল্পনা নেই।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা