Agniveer Permanent Recruitment: অপারেশন সিঁদুর সাফল্যের জেরে খুলে গেল অগ্নিবীরদের স্থায়ী চাকরির পথ

গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ডসে ইতিহাস গড়লেন অগ্নিবীররা। প্রথমবার সাহসিকতার পুরস্কার জিতলেন দুই অগ্নিবীর। সেনা সূত্রে খবর, এবার স্থায়ী চাকরির সুযোগও বহুগুণে বাড়তে চলেছে।

Agniveer Permanent Recruitment: অপারেশন সিঁদুর সাফল্যের জেরে খুলে গেল অগ্নিবীরদের স্থায়ী চাকরির পথ

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Aug 17, 2025 | 9:41 PM

স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রকাশিত গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ডসের তালিকায় ইতিহাস তৈরি করলেন অগ্নিবীররা। রাষ্ট্রপতি ১২৭ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। তাঁদের মধ্যে পদাতিক বাহিনীর দুই অগ্নিবীর কুলবীর সিং ও মুদ মুরলীনায়েক সেনা মেডেল পেয়েছেন। এই প্রথমবার গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ডে নাম উঠল অগ্নিবীরদের। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দুই অগ্নিবীরই পুরস্কৃত, তবে সেনা সূত্রে খবর, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া প্রায় সব অগ্নিবীরই সমান সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

প্রায় ৩ হাজার অগ্নিবীরকে ওই অপারেশনে পশ্চিম সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রতিটি ইউনিটে ছিলেন গড়ে ২০০ জন করে অগ্নিবীর, যাঁদের বয়স ছিল কুড়ির আশেপাশে। সেনার দাবি, তাঁদের পারফরম্যান্স রেগুলার জওয়ানদের মতোই ছিল। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইনস্টল ও পরিচালনা থেকে শুরু করে ফায়ার ও রেডিও অপারেটর, গানার এবং হেভি-ডিউটি ভেহিকল চালকের কাজ, সব ক্ষেত্রেই অগ্নিবীররা দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেই আকাশতির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কার্যকর ভূমিকা নেয়, সেটিও অগ্নিবীররাই অপারেট করেছেন।

তাঁদের এই সাফল্যে সেনা কর্তারা এখন আরও বেশি সংখ্যায় অগ্নিবীরদের স্থায়ী চাকরি দেওয়ার পক্ষে। নিয়ম অনুযায়ী, ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত অগ্নিবীরদের বাহিনীতে যোগদানের সুযোগ থাকে এবং চাকরির মেয়াদ হয় ৪ বছর। প্রতি ব্যাচ থেকে ২৫ শতাংশ অগ্নিবীর স্থায়ী চাকরি পান। তবে সেনা সূত্রে খবর, ভবিষ্যতে কমব্যাট ইউনিটে ৭৫ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিগন্যালিংয়ের মতো টেকনিক্যাল বিভাগে ৮০ শতাংশ এবং বিশেষ বাহিনীতে ১০০ শতাংশ অগ্নিবীরকেই রাখা হবে।

নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার ক্ষেত্রে এখনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং জানিয়েছেন, অগ্নিবীরদের নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। সরকারি অনুমোদন মিললে বায়ুসেনায়ও ২৫ শতাংশের বেশি অগ্নিবীরকে স্থায়ী চাকরি দিতে কোনও অসুবিধা হবে না।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল অগ্নিবীর প্রকল্প। আগামী বছরই প্রথম ব্যাচের চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। তার আগেই অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, ২৫ শতাংশের বেশি অগ্নিবীর এবার সেনায় স্থায়ী চাকরি পাবেন। উল্লেখ্য, সরকারের তরফে অগ্নিবীর নিয়োগের অন্যতম লক্ষ্য ছিল তিন বাহিনীতে কর্মরত জওয়ানদের গড় বয়স কমানো। কিন্তু চাকরির মেয়াদ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা শুরু হয়। এবার স্থায়ী চাকরির শতাংশ বেড়ে গেলে সেই সমালোচনার জবাবও হাতে পাবে কেন্দ্র। বিশেষ করে যে, স্পেশ্যাল ফোর্সে ১০০ শতাংশ অগ্নিবীরকেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটিই প্রকল্পের বড় সাফল্যের প্রমাণ হয়ে উঠতে চলেছে।