নয়া দিল্লি: রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে লেখক তথা সমাজসেবী সুধা মূর্তিকে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সুধা মূর্তির আরও এক পরিচয় হল, তিনি ইনফোসিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী। নারায়ণ মূর্তি একাধিক ক্ষেত্রে, ইনফোসিসের বোর্ডে সুধা মূর্তিকে জায়গা না দেওয়া নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। এদিন সুধা মূর্তি রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পরই, তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের ‘নারী শক্তি’ কতটা মজবুত, রাজ্যসভায় তাঁর উপস্থিতিই তার প্রমাণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “শ্রীমতি সুধা মূর্তিজিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করায় আমি আনন্দিত। সামাজিক কাজ, জনহিতকর কাজ এবং শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুধাজির অবদান অপরিসীম এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। রাজ্যসভায় তার উপস্থিতি আমাদের নারী শক্তির এক জোরাল প্রমাণ। আমাদের দেশএর ভবিষ্যৎ রচনায় মহিলাদের শক্তি এবং সম্ভাবনার উদাহরণ। তাঁর সংসদীয় মেয়াদ ফলপ্রসূ হোক, আমার শুভেচ্ছা রইল।”
ভারতের রাষ্ট্রপতি মোট ১২ জনকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করে থাকেন। সাধারণত, শিল্প, সাহিত্য, কলা, বিজ্ঞান এবং ক্রীড়া বা সামাজিক পরিষেবা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, এমন ব্যক্তিদেরই মনোনয়ন দেন রাষ্ট্রপতি।
গত বছরই সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য সুধা মূর্তিকে ভারতের তৃতীয়-সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার, পদ্মভূষণে ভূষিত করা হয়েছিল। তার আগে, ২০০৬৫ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়। তাঁর সারল্য এবং স্পষ্ট বক্তব্যই সুধা মূর্তির পরিচয়। টেলকো সংস্থায় একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সুধা মূর্তি। সংস্থাটি এখন পরিচিত টাটা মোটরস নামে। বর্তমানে সুধা মূর্তি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন।সামাজিক কাজকর্মের পাশাপাশি, তিনি ইংরেজি এবং কন্নড় ভাষায় একজন বিশিষ্ট লেখকও বটে। তাঁর বেশ কিছু বই অন্যান্য ভারতীয় ভাষাতেও অনুবাদ করা হয়েছে।