নয়া দিল্লি: বাবা-মেয়ে দুজনেই আছেন তিহাড় জেলে। আলাদা সেলে থাকায় একে অপরের খবর পান না খুব বেশি। দেখা হওয়ার সুযোগও কম। আজ আদালতে গিয়ে বাবা-কে দেখতে না পেয়েই সায়গলের কাছে বাবার কথা জানতে চান অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। উত্তরে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন জানান, শরীর ভাল নেই অনুব্রতর। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। এ কথা শুনে আদালতেই কেঁদে ফেলেন সুকন্যা। এদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি কেষ্ট। ভার্চুয়ালিই হাজির হন শুনানিতে। ভার্চুয়াল হাজিরার সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সে দেখা যায় সবুজ গেঞ্জি গায়ে জেলে বসে রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় বছর খানের আগে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। মাস কয়েক পরে গ্রেফতার হন তাঁর একমাত্র কন্যা সুকন্যাও। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে সুকন্যার নামে যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েই সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন সুকন্যা। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করার কথা ছিল সুকন্যা, অনুব্রত সহ এই মামলার অভিযুক্তদের। সেই মতো আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সুকন্যাকে। উপস্থিত ছিলেন আর এক অভিযুক্ত সায়গলের হোসেনও।
অসুস্থতার কারণে গত ২ মাস ধরে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই শুনানিতে অংশগ্রহণ করছিলেন অনুব্রত। আজ তাঁর সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তাই কোর্টে প্রবেশ করে বাবাকে দেখতে না পেয়ে অবাক হন সুকন্যা। সায়গলকে জিজ্ঞেস করে বাবার অসুস্থতার কথা জানতে পারেন তিনি। ভেঙে পড়েন সুকন্যা। আদালত কক্ষ থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বাবার শরীর ভাল নেই।’
এদিন ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত, সুকন্যা ও সায়গলের। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, অনুব্রতর অসুস্থতার কথা জানা গেলেও, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে।
কিছুদিন আগে অনুব্রত-সুকন্যার মনোমালিন্যের খবরও সামনে এসেছিল। সেই মনোমালিন্যের জেরে নাকি মামলা থেকে সরে দাঁড়ান সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার। আইনজীবীকে নিয়েই বাবা-মেয়ের মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।