Supreme Court: ‘বাংলাদেশে পুশব্যাক করার আগে প্রমাণ করার সুযোগ দিতে হবে’, বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
Bangladeshi: সোনালিকে পুশব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানোর পর পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ড হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিল। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের বেঞ্চ সেই সোনালি খাতুনকে অবিলম্বে ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

নয়া দিল্লি: গর্ভবতী মহিলাকে পুশব্যাক করা হয়েছিল বাংলাদেশে। সোনালি খাতুন নামে সেই মহিলাকে বাংলাদেশি বলে পাঠিয়ে দেওয়ার সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলাতেই এবার বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। ‘বাংলাদেশি’ বলে আখ্যা দেওয়ার আগে যাতে খতিয়ে দেখা হয়, সেই বার্তাই দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, কিছুদিনের জন্য ফিরিয়ে এনে যাতে প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সেই পরামর্শও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যথাযথ নথি দিয়ে প্রমাণ দেওয়ার অধিকার সবার আছে, এমনটাই বলেছে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ।
সোনালিকে পুশব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানোর পর পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ড কলকাতা হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিল। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের বেঞ্চ সেই সোনালি খাতুনকে অবিলম্বে ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
সেই মামলায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বক্তব্য, “কেউ বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে এলে আপনাদের নির্বাসন দেওয়া যুক্তিযুক্ত। তাতে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু কেউ যদি তথ্য তুলে ধরে প্রকাশ করেন, যে তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানে বড় হয়েছেন, তাহলে তাঁর অধিকার রক্ষা করতে হবে।” প্রধান বিচারপতি এদিন কেন্দ্রকে আরও বলেন, “কেন্দ্রের বিভিন্ন এজেন্সি আছে। মামলাকারীদের তথ্য যাচাই করে সেই সব এজেন্সি।” একই সঙ্গে তাদের হিয়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়ার অর্থাৎ তাদের কথা শোনার সুযোগ দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। নথির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব যাচাই করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে বলেন, “রেকর্ডে অনেক নথির কথা আছে। বার্থ সার্টিফিকেট, নিকট আত্মীয়ের জমির দলিল। আগে থেকে কোনও অনুসন্ধানই করা হয়নি। ওদের কথা না শুনেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফিরিয়ে এনে কেন সব নথি পরীক্ষা করা হবে না?”
আগামী সোমবার, ১ ডিসেম্বর মামলার শুনানি রয়েছে। গর্ভবতী সোনালি খাতুনসহ আরও পাঁচজনকে কোনও তথ্য যাচাই না করেই বাংলাদেশে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেখানে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর মামলা হয় হাইকোর্টে।
