মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন শুনবেন না, নারদ মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
শুধু নারদ মামলাই (Narad Case) নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাও শুনবেন না এই বিচারপতি।
নয়া দিল্লি: নারদ মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন শুনবেন না বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। ব্যক্তিগত কারণে এই বাঙালি বিচারপতি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন। অন্য বেঞ্চে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অপর বাঙালি বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৬ ঘণ্টা সেখানে বসেছিলেন তিনি। অন্যদিকে আদালতে চার নেতার গ্রেফতারি নিয়ে যখন শুনানি চলছিল, তখন সেখানে হাজির হন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এই দুই ঘটনাকে আদালতে ‘হাতিয়ার’ করে সিবিআই।
সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, দলীয় মন্ত্রী-বিধায়ককে গ্রেফতার করতেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই দফতরে গিয়ে ধরনায় বসেছেন। তদন্তের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলার মতো ঘটনা। অন্যদিকে সিবিআইয়ের প্রশ্ন ছিল, আইনমন্ত্রী কী ভাবে আদালতে গিয়ে হাজির হতে পারেন? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কাছে হলফনামা চায় হাইকোর্ট। তা তাঁরা পেশও করেন। তবে সময়ের পরে হলফনামা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তুলে তা গ্রহণে অস্বীকার করে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। হলফনামা জমা দিতে দেরি হওয়ায় তা নিতে অস্বীকার করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। সেই হলমনাফা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো, বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ নিয়ে ১০ সদস্যর কমিটি গঠন রাজ্যের
সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের জামিনের বিরোধিতায় সিবিআইয়ের আবেদন মামলায় চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ব্যক্তিগত কারণে দু’টি মামলা থেকেই অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু।