লক্ষ্য তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো, বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ নিয়ে ১০ সদস্যর কমিটি গঠন রাজ্যের

আগামী ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণের (COVID-19) এই ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন এইমস-এর ডিরেক্টর।

লক্ষ্য তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো, বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ নিয়ে ১০ সদস্যর কমিটি গঠন রাজ্যের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 10:56 AM

কলকাতা: কোভিডের (COVID-19) তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ১০ সদস্যর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষজ্ঞ কমিটির ওএসডি করা হল চিকিৎসক জেকে ঢালিকে। এছাড়াও কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ পাল, যোগীরাজ রায়, মৃণালকান্তি দাস, বিভূতি সাহা, আশুতোষ ঘোষ, জ্যোতির্ময় পাল এবং অভিজিৎ চৌধুরীর মতো চিকিৎসকরা। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের উপর বিশেষ নজর। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে কমিটি। তা ছাড়াও তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কী ধরনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রয়োজন সে বিষয়েও পরামর্শ দেবেন এই বিশেষজ্ঞরা।

কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল। আগামী ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণের এই ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন এইমস-এর ডিরেক্টর। স্বভাবতই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। এ রাজ্যেও পুরোদমে চলছে পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এরই মধ্যে নবতম সংযোজন ১০ সদস্যর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন।

আরও পড়ুন: দিল্লির পাওয়ার-বৈঠকে যোগ নেই তৃণমূলের! প্রশান্ত-শলায় কি জল মাপছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কেমন হওয়া উচিৎ, কোথায় কত শয্যা রাখা দরকার, কোথায় চিকিৎসক প্রয়োজন, কী ধরনের চিকিৎসা পরিকাঠামো প্রয়োজন এই বিষয়গুলিই পর্যবেক্ষণ করবে কমিটি। পাশাপাশি কোভিড পেডিয়াট্রিক ম্যানেজমেন্ট বা শিশুদের সংক্রমণ মোকাবিলায় পাঁচ সদস্যর যে বিশেষ কমিটি রয়েছে তারা ইতিমধ্যে ১৩০০ আইসিইউ, ৩৫০ এসএনসিইউ বেড-সহ বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি কোভিড পেডিয়াট্রিক ম্যানেজমেন্টে কী ধরনের পরিকাঠামো বাড়ানো প্রয়োজন সেই বিষয়গুলিতে দরকার মতো পরামর্শ দেবে ১০ সদস্যর বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এই কমিটিতে সমস্ত ধরনের চিকিৎসকই রয়েছেন। মেডিসিনের চিকিৎসক যেমন রয়েছেন, শিশু বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, গ্যাসট্রোএনটেরলজিস্টও রয়েছেন। সব মিলিয়ে এই কমিটি। লক্ষ্য একটাই পরিকল্পিত ভাবে কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলা।