নয়া দিল্লি: দেশে প্রচলিত বিবাহিত আইন অনুযায়ী, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য মেয়েদের বৈধ বয়স ১৮ বছর। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে তা ২১ বছর। তবে স্ত্রী-পুরুষ, উভয়ের জন্যই এই বয়স এক করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিণী উপাধ্যায় (Ashwini Upadhyay)। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud), বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি ছিল। তবে এই আবেদন শুনতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত।
আবেদনকারীর যুক্তি, বিয়ের ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষদের ভিন্ন ভিন্ন বয়স সংবিধানের ১৪, ১৫ ও ২১ ধারা এবং সমানাধিকারকে লঙ্ঘন করে। তিনি বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠার জন্য মেয়েদের বয়স ২১ বছর করার কথা বলেন। এর ফলে বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা, দু’জনেরই বৈধ বয়স হত ২১ বছর। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদালত সংসদকে আইন প্রণয়নের জন্য জারি করতে পারে না। আইনে কোনও পরিবর্তনের বিষয়টি সংসদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ। তাই এই আবেদনও বাতিল হয়ে যায়।
এই আবেদনের ভিত্তিতে আদালতে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “আপনি বলছেন বিয়ের জন্য মেয়েদের যোগ্য বয়স হওয়া উচিত ২১ বছর। ১৮ বছর নয়। কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের বিয়ের বয়সের এই ১৮ বছরের সীমা তুলে নিই তাহলে আর কোনও বয়সের বাধাই থাকছে না। তাহলে তো ৫ বছরের এক শিশুও বিয়ে করতে পারে।” প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সংসদে একটি বিল নিয়ে এসেছিল কেন্দ্র। সেখানে বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠার জন্য মেয়েদের বয়স ১৮ বছর থেকে ২১ বছর করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। আপাতত সেখানেই ঝুলে রয়েছে বিষয়টি।