নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল আম আদমি পার্টি (AAP) নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার। আমলাদের নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের জারি করা অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু, কেন্দ্রের অধ্যাদেশে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে দিল্লি সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে অধ্যাদেশ নিয়ে কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি এস নরসিমহার বেঞ্চে এদিন মামলাটির শুনানি হয়। দিল্লি সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। দিল্লি সরকারের আবেদনটি সংশোধন করে তাতে উপরাজ্যপালকে একটি পার্টি করতে সিংভিকে বলে শীর্ষ আদালত।
আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে আপ সরকারের আবেদনের মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে আগামী ১৭ জুলাই। পাশাপাশি গবেষক সহ যে ৪০০ জনকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বরখাস্ত করেছেন, সেই বিষয়েও সেদিন দিল্লি সরকারের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত। কেজরীবাল সরকার সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া আবেদনপত্রে জানিয়েছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর ‘সুপার মুখ্যমন্ত্রীর মতো’ কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির ক্ষমতা আদতে কার হাতে থাকবে, সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্র বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টেও। শীর্ষ আদালত স্পষ্টত জানায়, পুলিশ, জমি ও আইন-শৃঙ্খলার ক্ষমতা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক অধিকার দিল্লি সরকারের হাতে থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই
আপ সরকার দিল্লির এক আমলাকে বদলি করেন। এরপর গত ১৯ মে কেন্দ্রের তরফে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। ওই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়, দিল্লির সমস্ত আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে থাকবে। কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সের তীব্র বিরোধিতা করে কেজরীবাল সরকার। অন্যান্য বিরোধী দলও তাদের পাশে দাঁড়ায়। তারপর কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় আপ সরকার।