
নয়া দিল্লি: সুরক্ষিত, ভাল রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং যান চলাচল যোগ্য রাস্তা সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে বেঁচে থাকার অধিকারেরই অংশ। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব প্রাইভেট কন্ট্রাক্টরদের দেওয়ার বদলে রাজ্যের উচিত রাস্তার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরাসরি নিজের হাতে নেওয়া।
গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে শুনানি চলছিল রাস্তার সংস্কার সংক্রান্ত একটি মামলার, যেখানে মধ্য প্রদেশ সরকার হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিল বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। ওই বেসরকারি সংস্থা দাবি করেছিল, রাজ্য সরকার কোনও বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করতে পারে না। হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, রাজ্য সরকার রিট পিটিশন দাখিল করতে পারে যেহেতু সরকারের সঙ্গে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তবে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের রিট পিটিশন গ্রহণ করে।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংস্থা। শীর্ষ আদালত মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে। তবে একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “মধ্য প্রদেশ হাইওয়েজ অ্য়াক্ট ২০০৪-র অধীনে রাজ্য়ের রাস্তার উন্নয়ন, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে রাজ্যের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। কিছু নিয়ম-বাধ্যবাধকতা বাদে যেহেতু দেশের যেকোনও প্রান্তে যাওয়া সংবিধানের ১৯(১)(জি)-র অধীনে মৌলিক অধিকার, তাই রাজ্যের দায়িত্ব রাস্তার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।”
রাস্তা সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে আউট সোর্সিংয়ে নির্ভরশীল না হয়ে, সতর্ক করা হয় যে উন্নয়ন ও রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্যেরই, এ কথা মনে করিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলে, “স্টেট হাইওয়ে বা জেলায় রাস্তা নির্মাণের কন্ট্রাক্ট সরকার পরিচালিত কর্পোরেশনের উপরে থাকে।”