AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bilkis Bano Case: বিলকিস বানোর বড় জয়, ১১ আসামীকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court: গুজরাট সরকারকে আসামীদের সাজা মকুবের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুজরাট সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিই ১৯৯২ মওকুফ নীতিতে ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে। কমিটির তরফে বলা হয়, ১১ জনই সংস্কারী ব্রাহ্মণ। ১১ বছর সাজা ভোগ করেছে তাঁরা এবং জেলেও তাঁরা ভাল আচরণ করেছেন।

Bilkis Bano Case: বিলকিস বানোর বড় জয়, ১১ আসামীকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বিলকিস বানো।Image Credit: Twitter
| Updated on: Jan 08, 2024 | 1:45 PM
Share

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় বিলকিস বানোর (Bilkis Bano)। ১১ জন ধর্ষকের মুক্তি আটকাল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের আসামীদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে ভুল বলে, ১১ জন আসামীকেই আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের সাজার মেয়াদ পূরণের আগেই মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো মামলার শুনানি হচ্ছিল। বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে ২০২২ সালে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো।

এ দিন শীর্ষ আদালতের তরফে গুজরাট সরকারের বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষককে মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, গুজরাট সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনত এক্তিয়ার ছিল না। এটা সম্পূর্ণ বেনিয়ম। গুজরাট সরকারের উচিত ছিল ২০০২ সালের আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা।

সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, নির্যাতিতার অধিকার সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের সম্মান করা উচিত। ২০০২ সালের মে মাসে গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা তথ্য লুকানো ও প্রতারণা। শীর্ষ আদালতের তরফে এও জানানো হয়েছে যে গুজরাট সরকার ১৯৯২ মওকুফ নীতিতে আসামীদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল, তা ২০১৪ সালেই একটি আইনের মাধ্য়মে বদলে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের ওই আইনে বলা হয়েছিল, গুরু অপরাধে অভিযুক্তদের সাজার মেয়াদ পূরণের আগে মুক্তি দেওয়া যায় না। গুজরাট সরকার অপরাধীদের মুক্তির নির্দেশে গ্রহণযোগ্যতার অভাব রয়েছে।

বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ড-

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়কালে গণধর্ষিত হন বিলকিস বানো। সেই সময় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। তাঁর চোখের সামনেই ৩ বছরের কন্যা সহ পরিবারের ৭ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হন বিলকিস। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই কোর্ট অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে বম্বে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। ১৫ বছর কারাবাসের পর, ১১ আসামীর মধ্যে একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বল ঠেলে দিয়েছিল গুজরাট সরকারের কোর্টে।

গুজরাট সরকারকে আসামীদের সাজা মকুবের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুজরাট সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিই ১৯৯২ মওকুফ নীতিতে ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে। কমিটির তরফে বলা হয়, ১১ জনই সংস্কারী ব্রাহ্মণ। ১১ বছর সাজা ভোগ করেছে তাঁরা এবং জেলেও তাঁরা ভাল আচরণ করেছেন। ২০২২ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন গুজরাট সরকার অভিযুক্তদের মুক্তি দেয়। হিরোর সম্মানে তাদের স্বাগত জানানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিলকিস বানো গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।

১১ দিনের শুনানির পর গত অক্টোবর মাসে এই মামলার রায় সংরক্ষিত রাখে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ। এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে বিলকিস বানোর রায়কে বৈধ বলে জানানো হয়।