SC on OBC Reservation: কাটল জট, OBC নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court: জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেডিক্য়াল পরীক্ষায় অন্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন প্যানেল তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়েই স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

SC on OBC Reservation: কাটল জট, OBC নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট।Image Credit source: PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 22, 2025 | 2:57 PM

নয়া দিল্লি:  ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং মেডিক‍্যাল এন্ট্রান্স নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।  জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেডিক্য়াল পরীক্ষায় অন্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন প্যানেল তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়েই স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কাটল ওবিসি জটও।

শুক্রবার (২২ অগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চের তরফে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশে আর কোনও বাধা রইল না। মূল মামলার শুনানি আগামী সোমবার। প্রসঙ্গত, গত ৭ অগস্ট জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফল প্রকাশ করার কথা ছিল, কিন্তু ওবিসি জটের কারণেই সেই ফল প্রকাশ হয়নি।

এদিন মামলার শুনানিতে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট তো সর্বোচ্চ আদালতের কোনও রায়ই মানছে না। যা ইচ্ছা নির্দেশ দিচ্ছে”। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, “আমরা তো ওবিসির রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েই রেখেছি”। কপিল সিব্বল বলেন, “আমরাও কি বলব বুঝে পারছি না”। এরপরই প্রধান বিচারপতি হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন। মূল মামলার শুনানি আগামী সোমবার। সমস্ত ওবিসি সংক্রান্ত মামলা  একসঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই।

২০১০ সালের পর রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপরই যাবতীয় জট শুরু হয়। ২০২৪ সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেডিক্যাল-স্নাতকোত্তর) পরীক্ষায় ওবিসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন প্যানেল তৈরি করতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্টের কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চ। ২০১০ সালের আগের ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতেই নতুন মেধাতালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের পরে ওবিসি শংসাপত্র হয়েছে, এমন পরীক্ষার্থীরা কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাবেন না বলেই জানানো হয়।

২০২৪ সালে মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষায় মামনি সাউ সহ মামলাকারীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে কাউন্সেলিং-এর জন্য তালিকাভুক্ত হলেও তাঁদের কাউন্সেলিং-এ ডাকা হয়নি। ফলে কোনও মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা ভর্তি হতে পারছিলেন না। এর মধ্যেই ২০২৫ সালের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তারপরই মামলা হয়। 

২০১১ সালের আগে ওবিসি সংরক্ষণের নীতির উপরে ভিত্তি করেই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করতে হবে, নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। সেখানেই জট বাধছিল, কারণ রাজ্য সরকার চাইছিল নতুন ওবিসি সংরক্ষণের নীতিতে ফল প্রকাশ করা হোক। অনিশ্চয়তার খাড়া ঝুলছিল লক্ষ লক্ষ পডুয়ার ভবিষ্যতের উপরে। আজ, ২২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় জয়েন্টের ফল প্রকাশে জট কাটল। একইসঙ্গে নিট ও ডেন্টালের ফল প্রকাশেও জট কাটল। এবার কবে ফল প্রকাশ ও কাউন্সেলিং শুরু হয়, তা-ই দেখার। যদিও কীভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া হবে, সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেনি রাজ্য় সরকারও।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে। সেই মামলার অংশ করা হয় জয়েন্টের ফল প্রকাশের মামলাটিও। রাজ্যের তরফেই জয়েন্টের ফল প্রকাশের বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আজ সেই শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।