PIB Fact-Check Unit: বিজ্ঞপ্তি জারির পরদিনই কেন্দ্রের ফ্যাক্ট-চেক ইউনিটে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

PIB Fact-Check Unit: বিজ্ঞপ্তি জারির একদিনের মধ্যেই, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ), কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবারই প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে এই ফ্যাক্ট-চেক ইউনিট চালুর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্র। ভুয়ো খবরের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে এই ইউনিট। কেন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট?

PIB Fact-Check Unit: বিজ্ঞপ্তি জারির পরদিনই কেন্দ্রের ফ্যাক্ট-চেক ইউনিটে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
যাত্রা শুরুর পরই হোঁচট ফ্যাক্ট চেক ইউনিটেরImage Credit source: TV9 Bangla

Mar 21, 2024 | 3:02 PM

নয়া দিল্লি: বুধবারই প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর আওতায় একটি ‘ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট’ চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রক। একদিন পরই, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ), এই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০২১-এ যে সংশোধনী এনেছিল, তাকে বম্বে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেই মামলা হাইকোর্টে এখনও বিচারাধীন। সেই মামলায় হাইকোর্ট কোনও রায় ঘোষণা না করা পর্যন্ত কেন্দ্রের জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

বুধবার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে এই ফ্যাক্ট-চেক ইউনিট চালুর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কেন্দ্র বলেছিল, ‘ভুয়ো খবরের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে’ই এই ইউনিট চালু করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, সমস্ত অনলাইন কনটেন্ট পরীক্ষা করবে এই সরকারি ফ্যাক্ট চেক ইউনিট। তবে সমালোচকদের দাবি, নাগরিকদের মত প্রকাশের সবাধীনতাকে খর্ব করতেই এই ইউনিট চালু করছে কেন্দ্র। তাই, কেন্দ্র যাতে এই পদক্ষেপ করতে না পারে, তার জন্য বম্বে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। যদিও, ১৩ মার্চ কেন্দ্রকে এই রদক্ষেপ করা থেকে আটকাতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট। এরপর, হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট, এদিন এই স্থগিতাদেশ জারি করল।

২০২৩-এর ৬ এপ্রিল, ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে কিছু সংশোধনী জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একটি নয়া বিধান যোগ করা হয়েছিল, যাতে আইটি মন্ত্রক অনলাইনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম সংক্রান্ত ভুয়ো, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট শনাক্ত করতে পারে। এদিন বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ বলে, “আমাদের মতে, সংবিধানের ১৯(১)(ক) ধারার লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা হাইকোর্ট বিবেচনা করছে। এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করার মধ্যে গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। উচ্চ আদালতে বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের নিয়মগুলির বিশ্লেষণ করা দরকার।”