Supreme Court: শাস্তি পাওয়া ‘নিরাপরাধ’ আরাবল্লীর ফের বিচার করবে সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court on Aravalli: এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। সুপ্রিম-রায় নিয়ে আপত্তি তোলেন একাংশ। প্রধান বিচারপতি গবাইয়ের বেঞ্চের দেওয়া পাহাড়ের 'সংজ্ঞা' আরাবল্লীকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেই দাবি করেন পরিবেশপ্রেমীরা। যা ঘিরে দেশজুড়ে চলে প্রতিবাদ। মূলত অভিযোগ, এই রায়ের ফলে এত দিন ধরে যে পাহাড়শ্রেণি সংরক্ষিত হয়ে এসেছে।

নয়াদিল্লি: এবার আরাবল্লীর সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। উঠবে খননকার্যের প্রসঙ্গ। বিতর্কের মাঝে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বিআর গবাইয়ের বেঞ্চ আরাবল্লী পাহাড়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে একটি রায় দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১০০ মিটারের বেশি হলে তবেই সেই পাহাড়কে আরাবল্লী পাহাড়শ্রেণীর অংশ বলে ধরা হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয়, বরং আশপাশের এলাকার চেয়ে ১০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার ভূখণ্ড কেবলমাত্র আরাবল্লী পাহাড় বলে গণ্য হবে। এই সংজ্ঞা ছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রস্তাবিত। তাতেই সিলমোহর দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। সুপ্রিম-রায় নিয়ে আপত্তি তোলেন একাংশ। প্রধান বিচারপতি গবাইয়ের বেঞ্চের দেওয়া পাহাড়ের ‘সংজ্ঞা’ আরাবল্লীকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেই দাবি করেন পরিবেশপ্রেমীরা। যা ঘিরে দেশজুড়ে চলে প্রতিবাদ। মূলত অভিযোগ, এই রায়ের ফলে এত দিন ধরে যে পাহাড়শ্রেণি সংরক্ষিত হয়ে এসেছে। তার ৯০ শতাংশই সংরক্ষণ বিধির বাইরে চলে যাবে। ফলত, খননকার্যে কোনও বাধা থাকবে না।
এবার এই আবহেই আরাবল্লী নিয়ে তৈরি হওয়া বিবাদ শুনবেন শীর্ষ আদালতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। আগামিকাল, সোমবার থেকে অবকাশকালীন বেঞ্চে শুরু হবে শুনানি। যাতে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী, বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ।
প্রসঙ্গত, গত ২০০ কোটি বছর ধরে উত্তর ভারতের অন্যতম ঢাল হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরাবল্লী পাহাড়শ্রেণি। যা বিস্তৃত রয়েছে প্রায় ৬৯২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এই আরাবল্লীর কারণে থর মরুভূমি থেকে উড়ে আসা বালি, ধুলিকণাকে রুখে দেওয়া যায়। পরিবেশ দূষণে কিছুটা বাঁধ থাকে। কিন্তু এই আরাবল্লী না থাকলে, সবই মুছে যেতে পারে নিমেষে।
