Bangladesh Update: ভারতে ঢুকে পড়েছে হাদির ‘খুনি’রা? ঢাকাকে পাল্টা জবাব দিল ভারত
Osman Hadi: নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন 'মূল অভিযুক্ত ফয়জ়ল করিম ওরফে দাউদ এবং আলমগীর শেখ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিতে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। এই অনুপ্রবেশে তাঁদের সহায়তা করা পূর্তি ও সামী নামে দুই সহযোগীকে মেঘালয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।' কিন্তু ঢাকা পুলিশের এই সকল দাবি নস্যাৎ করেছে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ।

নয়াদিল্লি: পুলিশ বলল, কোনও আলোচনাই হয়নি। বিএসএফ বলল, এমন কোনও তথ্যই নেই। রবিবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরা ঢাকা মহানগর পুলিশের সমস্ত দাবি নস্য়াৎ করল ভারত। মুখ ফেরাল মেঘালয় পুলিশ, মুখ ফেরাল সীমান্তরক্ষীরাও।
কী ঘটেছে?
বাংলাদেশে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি হত্য়াকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা পুলিশ। কিন্তু দুই মূল অভিযুক্ত — ফয়জ়ল ও আলমগীর শেখের টিকিও খুঁজে পায়নি তাঁরা। এই আবহেই বিরাট দাবি পুলিশের। রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এনএন মহম্মদ নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন ‘মূল অভিযুক্ত ফয়জ়ল করিম ওরফে দাউদ এবং আলমগীর শেখ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিতে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। এই অনুপ্রবেশে তাঁদের সহায়তা করা পূর্তি ও সামী নামে দুই সহযোগীকে মেঘালয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’ কিন্তু ঢাকা পুলিশের এই সকল দাবি নস্যাৎ করেছে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ।
ভারতের কী দাবি?
এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-কে মেঘালয় পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম ফর্মাল বা ইনফর্মাল আলোচনা হয়নি। ওরাও কোনও অভিযুক্তের নাম আমাদের পাঠায়নি। আমরাও কাউকে গ্রেফতার করিনি।’
ঢাকার পুলিশ কর্তার দাবি ছিল, হাদি-হত্যার ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্ত হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। পূর্তি নামে এক অভিযুক্তই নাকি তাঁদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করেছে। তারপর এই দু’জনে সামী নামে আরেক সহযোগীর ট্যাক্সিতে সওয়ার হয়ে তাঁরা পৌঁছে যায় মেঘালয়ের টুরায়। অবশ্য মেঘালয়ের পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, এই নামে কোনও অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পারছেন না তাঁরা। হাদি-কাণ্ডে ঢাকা পুলিশের দাবি নস্য়াৎ করেছে বিএসএফও। এদিন মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি উপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘হালুয়াঘাট থেকে মেঘালয়ে অনুপ্রবেশের কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। এই নিয়ে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সবটাই ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।’
