Malda School: মেয়েদের জন্য ক্লাস এইট অবধি স্কুল তৈরি করেছিল বামেরা, নবম-দশম তৈরি করতে কেটে গেল ১৭ বছর
Malda: অবশেষে প্রায় সতেরো বছর পর তৃণমূল বিধায়ক নয়, তৃণমূল মুখপাত্রের উদ্যোগে দুটো ক্লাস বেড়ে হল মাধ্যমিক পর্যন্ত। আর ভোটের আগে তৃণমূলের এমন কান্ডে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যা নিয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। রতুয়া গার্লস স্কুল নিয়ে এখন জোর চর্চা।

মালদহ: ভোট বড় বালাই! কেন বলুন তো? বামেদের তৈরি করা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল অবশেষে মাধ্যমিক পর্যন্ত হল। কথা ছিল দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তৈরি করার। কিন্তু ওই যে ‘নেই মামার থেকে কানা মামা ভাল।’ এক্ষেত্রেও তেমনটাই। তবে এই নবম আর দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস তৈরি করতে কেটে গেল প্রায় দুই দশক। অনেকে আবার মজার ছলে বলেছেন, বামেদের করা স্কুল, ‘রামের বনবাসের’ চেয়েও দীর্ঘ বছরের অপেক্ষার পর মেয়েরা পেল। কারণ, সতেরোটা বছর কেটে গেল ওই স্কুল খুলতে। আর তারপরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ভোটের জন্যই এত উদ্যোগ? জানা গিয়েছে, জেলা তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুন্ডুর উদ্যোগে হয়েছে এই গার্লস হাইস্কুল। মুখপাত্রের উদ্যোগেই হয়েছে বলছেন প্রধান শিক্ষিকা, অভিভাবকরাও। যদিও, এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য মেলেনি। এমনকী দেখা নেই উদবোধনের অনুষ্ঠানেও। শুধু তাই নয়, বার-বার তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটা তোলেননি।
রতুয়াতে মেয়েদের স্কুল না ছিল না একটা সময়। সেই কারণে ২০০৮ সালে সিপিএম এর তৎকালীন বিধায়ক শৈলেন সরকার একটি জুনিয়র গার্লস স্কুল খোলেন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। কথা ছিল বছর দুয়েকের মধ্যেই হাইস্কুল হবে মেয়েদের। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে শুধু মেয়েরাই পড়াশোনা করবে। কিন্তু ২০১১-তে হল পরিবর্তন। সরকারে এল তৃণমূল। তবে ভাগ্যের শিকে ছিড়ল না। চলতি স্কুলটাকে আরও উন্নত করার কোনও তাগিদই লক্ষ করা গেল না।
অবশেষে প্রায় সতেরো বছর পর তৃণমূল বিধায়ক নয়, তৃণমূল মুখপাত্রের উদ্যোগে দুটো ক্লাস বেড়ে হল মাধ্যমিক পর্যন্ত। আর ভোটের আগে তৃণমূলের এমন কান্ডে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যা নিয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। রতুয়া গার্লস স্কুল নিয়ে এখন জোর চর্চা।
প্রধান শিক্ষিকা ঋণী কুমার মজুমদার বলেন, “আশীস কুণ্ডুর উদ্যোগেই এইটা হয়েছে। এই রতুয়াতে কোনও গার্লস স্কুল ছিল না। তাই অনেকের দাবি ছিল এই স্কুলটি যদি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা যায় তাহলে অনেকের সুবিধা হয়।” মালদা সিপিএম-এর জেলা সম্পাদক কৌশিক মিশ্র বলেন, “এটা তো গিমিক। যিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি ওইখানকার প্রার্থী তালিকার মধ্যে আছেন। এই স্কুল শৈলেনদার করা। গোটা রাজ্যে ৮০০০ স্কুল বন্ধ হয়ে গেল। স্কুল ছুট বাড়ছে। এগুলোতে নজর নেই।” তৃণমূল “রতুয়াতে মেয়েদের স্কুলের জন্য শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরা অনেকদিন ধরে বলছিলেন গার্লস স্কুলের জন্য। আমরা সেটা শিক্ষা দফতরকে জানাই। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এটা হল।” স্কুল ছাত্রী বলেন, “আমাদের খুবই আনন্দ লাগছে। কারণ আমি এইট পাশ করে নাইনে উঠছি। এই স্কুল থেকেই আমরা মাধ্যমিক দেব। খুব ভাল লাগছে।”
